Friday, April 26, 2024

ইউক্রেনের বাইকুনুর জাতের আঙুর চাষে সফল ফারুক

বর্তমানে তিনি ১ বিঘা জমিতে আঙুর চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। তার সফলতা দেখে আশেপাশের অনেক বেকার যুবকরা উৎসাহিত হয়ে ফলের চাষে ঝুঁকছেন। ইউক্রেনের বাইকুনুর জাতের আঙুর চাষে ফারুকের সাফল্য। তিনি বিভিন্ন দেশের আঙুরের চারা সংগ্রহ করে সমন্বিত ফলের চাষ করছেন।

ফল চাষি মোঃ আবু রায়হান ফারুক কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মুক্তারাম এলাকার বাসিন্দা। তিনি ইউক্রেনের বাইকুনুর জাতের আঙুর চাষে সফল হয়েছেন। বর্তমানে তার ১ বিঘা জমি জুড়ে রয়েছে আঙুরের বাগান। গত বছর তিনি প্রায় ২০০টি আঙুর গাছ রোপন করেছিলেন। বাইকুনুরের পাশাপাশি তার কাছে বিক্সন, অ্যাপোলো, মনড্রোফ, রাবেয়া, সুলতানা, পেসট্রিজ, গ্রীনলংসহ ৪০ জাতের গাছ রয়েছে। এবছর প্রায় সবগুলো গাছেই ফল ধরেছে।

আবু রায়হান ফারুক বলেন, এই ফলের চাষ পদ্ধতি সহজ। কংক্রিটের খুটিতে সুতার মাঁচা তৈরী করতে হয়। মাটি দো’আশ ও পানি নিষ্কশনের ব্যবস্থা রাখতে হয়। সময় মতো সেচ ও পরিচর্যা করলে এর চাষে সফল হওয়া সম্ভব।আমি এক বড় ভাইয়ের বাড়ির ছাদে বাইকুনুর জাতের আঙুরের চাষ দেখে আগ্রহী হই। তার মাধ্যমে ২০০টি বাইকুনুর জাতের আঙুরের চারা সংগ্রহ করে ১ বিঘা জমিতে চাষ শুরু করি। বাইকুনুর জাতের আঙুরের চারা রোপনের ১২০ দিনের মধ্যে গাছে ফলন পাওয়া ও সংগ্রহ করা যায়। এতে বিঘাপ্রতি ৮০-৯০ হাজার টাকা খরচ হয়। এছাড়াও অন্যান্য জাতের আঙুরের গাছও আমার কাছে রয়েছে।

ফারুক আরও বলেন, এই জাতের আঙুরের স্বাদ খুবই মিষ্টি। বাজারে এই জাতের আঙুরের দাম বেশ ভাল। আমার বাগানের প্রায় প্রতি গাছেই ফল এসেছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই প্রতিটি গাছ থেকে ৪-৫ কেজি করে ফল সংগ্রহ করতে পারবো। আশা করছি লাভবান হতে পারবো। বর্তমান বাজারে এই জাতের আঙুর প্রতিকেজি ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, আমাদের দেশে অন্যান্য ফলের যেভাবে চাষ হয় সেভাবে আঙুরের বেশি চাষ হয় না। দেশের মাটি ও আবহাওয়ায় আঙুর চাষে ফলন আসার সম্ভাবনা কম থাকে। আর জেলার আঙুর চাষি ফারুককে আমরা কৃষি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা করবো। আঙুর চাষে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি হলে আমরা তাদের সাহায্য করবো।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট