Friday, April 19, 2024

তুলা চাষে লাভবান গাইবান্ধার কৃষকরা!

বর্তমানে দেশে আবার তুলা চাষ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে কৃষকরা ব্যাপক আকারে তুলার চাষ করছেন। এছাড়াও এর চাষে লাভবান হওয়া যায় বলে কৃষকরা আগ্রহ নিয়ে এর চাষ করছেন। গাইবান্ধায় জনপ্রিয়তা পাচ্ছে তুলা চাষ। একসময় বাংলাদেশের তুলার বিশ্বজুড়ে খ্যাতি থাকলেও ব্রিটিশ শাসনামলে তা হারিয়ে যায়। তুলার কারণে বস্ত্র শিল্পে ঘাটতি পড়লে বিদেশ থেকে আমদানি করা হতো।

বর্তমানে তুলা বাংলাদেশের দ্বিতীয় অর্থকরী ফসল, যা বস্ত্র শিল্পের প্রধান কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ি গ্রামের কৃষকরা ব্যাপকভাবে তুলার চাষ করছেন। তারা উচ্চ ফলনশীল পালী-১ জাতের তুলা চাষ করছেন। এছাড়াও কৃষকরা উচ্চ ফলনশীল রূপালী, হোয়াইট গোল্ড, ডিএম, শুভ্র জাতের কার্পাস তুলার চাষ। এই অঞ্চলের আবহাওয়া ও মাটি উর্বর হওয়ায় তুলার ফলনও বেশি পাচ্ছেন। অন্যান্য ফসলের তুলনার তুলা খরচ কম ও লাভ বেশি। এখানকার উৎপাদিত তুলা স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় সরবরাহ করা হয়। তাই কৃষকরা এর চাষে ঝুঁকে পড়ছেন।

তুলা চাষি জামিরুল হক বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত তুলা চাষের সাথে যুক্ত আছি। এছাড়াও আগে আমি কলা, ভুট্টা, তামাক, পাট, নেপিয়ার ঘাস গমসহ অন্য ফসল চাষাবাদ করতাম। বর্তমানে আমার ৭৩ শতাংশ জমিতে তুলার চাষ করতেছি। বিঘাপ্রতি জমিতে ৩৯০০-৪০০০টি তুলা গাছ রয়েছে। উন্নত জাতের তুলা হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবছর বেশি ফলন পেয়েছি। আর বর্তমান বাজার মূল্য প্রতিমণ ৩৮০০ টাকা। বিঘায় ১৮-২০ মণ তুলা উৎপাদন হয়েছে।

একই গ্রামের আরেক চাষি আব্দুল জব্বার বলেন, তুলা চাষ অত্যন্ত লাভজনক। আমি ৪-৫ বছর যাবত এর চাষ করে আসছি। বস্ত্র শিল্পে এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। সারাবছর এর চাহিদার কোনো ঘাটতি থাকে না। তুলা দিয়ে আমাদের দেশে বালিশ, লেপ, পুতুল, সুতাসহ অনেক কিছু তৈরি হয়। এছাড়াও এর সুতা বিদেশেও রপ্তানি হয়। আমি তুলা চাষে লাভবান হতে পারছি। তুলা দিয়ে আমাদের দেশে বালিশ, লেপ, পুতুল, সুতাসহ অনেক কিছু তৈরি হয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. খোরশেদ আলম বলেন, চলতি বছর গাইবান্ধা জেলায় ১৯ হেক্টর জমিতে তুলা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকরাও কম খরচে বেশি ফলন ও বাজারে বিক্রি করে লাভবান হতে পারছেন। আগের তুলনায় এখন তুলা চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট