Thursday, May 2, 2024

সিরাজগঞ্জে মরিচের ব্যাপক ফলন, দামে খুশি চাষিরা!

বর্ষায় পানি উঠার কারণে জমিতে পলি জমে মাটি আরো উর্বর হয়ে যায়। সেখানে মরিচের চাষ করেই কৃষকরা অধিক ফলন পান। ভালো ফলনের পাশাপাশি বাজারে বেশি দামে বিক্রি করতে পেরে খুশি কৃষকরা। সিরাজগঞ্জে যমুনার তীরে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। এই অঞ্চলের চাষিরা চরের বালু মাটিতে ব্যাপক পরিমানে মরিচের চাষ করে থাকেন।

যমুনার তীরের চাষিরা তাদের জমিতে হাইব্রিড বিজলী, যমুনা, রশনী, ঝিলিক উন্নত জাতের মধ্যে বারি-৩, সুপার সনিক, রংপুরী, বগুড়া ছাড়াও স্থানীয় জাতের মরিচের চাষ করেছেন। কম খরচে বেশি উৎপাদন ও ভালো বাজারদরে বিক্রি করে লাভবান হওয়া যায় বলে স্থানীয় কৃষকরা এর চাষে ঝুঁকছেন। এখানকার উৎপাদিত মরিচ ঝাল ও সুস্বাদু হয়। এর বেশ চাহিদাও রয়েছে।

চলতি বছর জেলায় ১৪৪৬ হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। এই অঞ্চলের কৃষকরা উন্নত হাইব্রিড জাতের মরিচের চাষ করে থাকেন। এতে কাঁচা মরিচের পাশাপাশি এই অঞ্চলে প্রায় আড়াই টন শুকনো মরিচের উৎপাদন হয়েছে।

সোনামুখী ইউনিয়নের উত্তর পাইকপাড়া গ্রামের মরিচ চাষি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি এবছর ৩২ শতাংশ জমিতে মরিচের চাষ করেছি। চাষে আমার প্রায় ৩২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বাজারদর ভালো থাকায় কাঁচামরিচ বিক্রি করে লাভবান হয়েছি। আর ৪ মণ শুকনো মরিচ আলাদা করে রেখেছি। আশা করছি শুকনো মরিচ বিক্রি করেও লাভবান হতে পারবো। বর্তমানে প্রতি কেজি শুকনো মরিচ ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

নাটুয়াপাড়ার কৃষক আবদুস সালাম বলেন, আমি এবছর কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে ১ বিঘা জমিতে মরিচের চাষ করেছি। ইতোমধ্যে ২০ মণ কাঁচামরিচ বিক্রি করেছি। আরো ৪ মণ শুকিয়ে রেখেছি। আশা করছি লাখ টাকার বেশি আয় করতে পারবো।

স্থানীয় বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচামরিচের দাম আগে বেশি থাকলেও এখন কিছুটা কম। তবে শুকনো মরিচ প্রতি কেজি ৫০০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়াও অনেক পাইকররা স্থানীয় বাজার থেকে কাঁচামরিচ কিনে বালুচরে উত্তপ্ত রোদে শুকিয়ে নিয়ে যান। এখাকার বাজারগুলোতে বিভিন্ন স্থানের পাইকাররা কাঁচা ও শুকনে মরিচ নিতে আসেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার বলেন, চলতি বছর এজেলায় ১৪৫৬ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। এর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৩২০৪ টন ধরা হয়েছে। এবছর চাষিরা মরিচের বাম্পার ফলন পেয়েছেন। আশা করছি আগামীতে আরো বেশি জমিতে মরিচের চাষ হবে। এছাড়াও বাজারদর ভালো থাকায় মরিচ বিক্রি করে কৃষকরা লাভবান হতে পেরেছেন।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট