Friday, May 3, 2024

হাট মাতাতে প্রস্তুত টঙ্গিবাড়ীর ডন, দাম ৫ লাখ!

গরুটিকে ঘর থেকে বাহিরে নিয়ে আসলে এক নজর দেখার জন্য অনেকেই ভীড় করেন। অনেকেই আবার মোবাইল দিয়ে এর ছবি তুলে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন। এতে গরুটির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকার পাইকাররাও কেনার জন্য যোগাযোগ করছেন। আসন্ন কোরবানির হাট মাতাতে প্রস্তত হয়েছে টঙ্গিবাড়ীর ডন। শাহিওয়াল জাতের এই গরুটিকে গত ১ বছর যাবত লালন-পালন করছেন আসলাম ছৈয়াল। এবছর হাটে উঠাবেন।

গরুটির মালিক আসলাম ছৈয়াল মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার হাসাইল বানারী ইউনিয়নের পূর্ব হাসাইল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি গত একবছর আগে কোরবানির হাট থেকে এই গরুটি কিনে নিয়ে আসেন। তারপর দীর্ঘ এক কছর যাবত এর লালন-পালন করে আসছেন। বর্তমানে গরুটির ওজন ২০ মণ হয়েছে। গরুটিকে ঘরের বাইরে নিয়ে আসলে অনেকেই দেখতে আসেন। প্রাকৃতিক খাবার খাইয়েই গরুটিকে বড় করেছেন বলে গরুর মালিক দাবি করছেন। তবে ভালো দাম পেলে বিক্রি করে দিবেন বলে জানান তিনি। আবার অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর ছবি ছড়িয়ে দেওয়ায় বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা এসে গরুটি দামদর করছেন।

গরুটির মালিক আসলাম ছৈয়াল বলেন, আমি গরুটি ১ বছর আগে হাট থেকে কিনে ছিলাম। তারপর এই এক বছর সম্পূর্ণ দেশি খাবার খাইয়ে গরুটিকে বড় করেছি। ঘাস, ছোলা ও ভূষি খাইয়েছি ডনকে। কোনো প্রকার ইনজেকশন বা কৃত্রিম ট্যাবলেট খাওয়ানোর মাধ্যমে মোটাতাজা করিনি। স্থানীয়রা ডনের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। সেখানে দেখে অনেক ক্রেতারা আমার সাথে যোগাযোগ করছেন। তবে কোরবানির হাটে উঠানোর ইচ্ছা আছে। তারা দামদরও করছেন। কোনো ক্রেতা ৫ লাখ টাকা বললে তার কাছে বিক্রি করে দিবো।

স্থানীয়রা জানান, ডন টঙ্গিবাড়ী উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু। গরুটির ওজন প্রায় ৮০০ কেজি। আশেপাশের মানুষসহ দুর থেকেও অনেক মানুষ গরুটিকে দেখতে আসেন। গরুর খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই খামার বন্ধ করে দিয়েছে। আবার অনেকেই অসৎ উপায়ে গরু মোটাতাজা করেন। তিনি প্রকৃতিকভাবেই এর লালন-পালন করেছেন। আশা করছি তিনি বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন। তবে আসলাম ছৈয়াল তার এই গরু পালনে কোনো প্রকার ইনজেকশন বা ঔষধ ব্যবহার করেননি।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট