Monday, April 29, 2024

‘রাজা বাদশা’র মেজাজ ঠান্ডা রাখতে করা হয় বাতাস

ফ্রিজিয়ান জাতের ৪২ মাস বয়সী ৩৫ মণ ওজনের ষাঁড়টি নামের মতো দেখতেও বেশ বড় আকারের। আর ষাঁড়টির দাম হাঁকাচ্ছেন ১৬ লাখ টাকা। ষাড়ঁটির পেছনে খরচ হয়েছে ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা। সাড়ে তিন বছর আগে একটি ফ্রিজিয়ান জাতের একটি ষাড়ঁ গরু কিনে লালনপালন শুরু করেন মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার চালা ইউনিয়নের লাউতা গ্রামের শাহজাহান-ফুলজান দম্পতি। ছোটবেলা থেকেই সন্তানের মতো আদর যত্নে বড় করেছেন গরুটিকে। শখ করে সাদা-কালো রঙের এই গরুটির নাম রেখেছেন রাজা বাদশা।

ফ্রিজিয়ান জাতের ৪২ মাস বয়সী ৩৫ মণ ওজনের এই ষাঁড়টির দৈর্ঘ্য আট ফুট ও পাঁচ ফুট দুই ইঞ্চি উচ্চতা। রাজা বাদশাকে দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে ওই দম্পতির বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছে মানুষ। রাজা বাদশাকে দেখতে আসা অনেক দর্শনার্থীই তুলছেন সেলফি। কেউ আবার হাত বুলিয়ে আদর করছেন এই ষাঁড়টিকে।

শাহজানের স্ত্রী ফুলজান বেগম বলেন, ৪২ মাস আগে আমার নিজের বাড়িতে জন্ম রাজা বাদশার। রাজা বাদশার মাকে পাঁচ বছর আগে কিনেছিলাম ২ লাখ টাকা। ৪২ মাস আগে রাজা বাদশার জন্ম। এক বছর ধরে প্রতি মাসে রাজা বাদশার পেছনে ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সম্পূর্ণ ভেজালমুক্ত খাবার দিয়ে গরুটাকে এত বড় করেছি। গত এক বছরে খাবার বাবদ প্রায় তিন লাখ টাকা খরচ হয়েছে।

তিনি জানান, খাবার তালিকায় গমের ভুসি, কুড়া, ভুসি, ছোলা, পায়রা, খড়, তাজা ঘাস, ভুট্টা, মালটা ও আঙুর রয়েছে। কোনো ধরনের ভেজাল (রাসায়নিক খাবার) খাওয়ানো হয়নি। নিয়ম করে দুই বেলা রাজা বাদশাকে করানো হয় গোসল। বিদ্যুৎ গেলে বাতাস করতে হয়। রাজা বাদশার মেজাজ ঠান্ডা রাখতে বাতাস করা হয় বড় একটি ফ্যান দিয়ে।

কৃষক মো. শাহজাহান বলেন, রাজা বাদশাকে সম্পূর্ণ ভেজালমুক্ত খাবার দিয়ে এতো বড় করেছি। সামনে কোরবানির ঈদে যদি ষাঁড়টিকে ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করতে না পারি তাহলে আমাদের অনেক লোকসান হবে। তবে আশা করছি এই দামেই ষাঁড়টিকে বিক্রি করতে পারব।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট