Saturday, May 4, 2024

মাশরাফিকে বিসিবির সভাপতি করার দাবি ফেসবুকজুড়ে

আকস্মিক অবসর নেওয়ার একদিন পরই ক্রিকেটে ফেরার সিদ্ধান্ত নিলেন তামিম ইকবাল। সাবেক অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার কথা জানালেন তামিম। বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে তামিমকে ফেরানোর ঘটনায় বাংলাদেশের ক্রিকেটে মাশরাফির গুরুত্ব আরও পরিষ্কার হলো।

ফলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকজুড়ে তাঁকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি করার দাবি উঠেছে। তামিমের ফেরার সিদ্ধান্তে স্বস্তি জানিয়েছেন লাখ লাখ ক্রিকেট ভক্ত। একই সঙ্গে অনেকেই মাশরাফিকে নিয়ে দাবি তুলতে দেখা যায়।

তবে ফেসবুকে দাবি উঠলেও এখনই মাশরাফিকে বিসিবি সভাপতি করার সুযোগ নেই। এই পদের জন্য নির্দিষ্ট কিছু বিধিবিধান রয়েছে, এজন্য কোনো ক্লাবের সভাপতি থাকতে হয় অথবা বোর্ড পরিচালক বা কাউন্সিলর হয়ে তিন বছর দায়িত্ব পালন করতে হয়। মাশরাফির তেমন অভিজ্ঞতা নেই। তবুও ফেসবুকজুড়ে দাবি তুলে চলেছেন ভক্তরা।

স্যেশাল মিডিয়ার তথ্য মতে ফেসবুকে এমন দাবি প্রথম তোলেন বসুন্ধরা গ্রুপের প্রেস এন্ড মিডিয়া উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব। তামিমকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেও স্যোশাল মিডিয়ায় তিনিই প্রথম লিখেছিলেন। সাবেক এ কূটনীতিকের সর্বশেষ ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‌‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আবারো প্রমাণ করলেন তিনিই ক্রিকেটের জননী। আবারও দুর্দিনে ক্রিকেট পেল তাঁর সঠিক অভিভাবকত্ব। তামিমকে ফিরিয়ে এনে ছন্নছাড়া হতে চলা দলকে সঠিক দিক দেখালেন তিনি। তামিম ফিরল, আপাতত ক্রিকেট রক্ষা পেল। মধ্যস্থতা করলেন মাশরাফি, তাকে দেখাল পরিবারের বুঝদার বিচক্ষণ বড় ভাইয়ের মত। এই বড় ভাইকে বোধহয় ক্রিকেটের বড় দায়িত্ব দেয়ার সময় এসেছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। মাশরাফির হাতে বোর্ডের নেতৃত্বভার তুলে দেয়ার কাজটি করে দিলে ক্রিকেট বোধহয় সবসময় ঠিক পথে থাকবে। মহান আল্লাহ্পাক আপনার সহায় সবসময়, আর মানুষের ভালোবাসায় আপনি সিক্ত চিরদিনই।’

এর আগের দিন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘আপনিই ক্রিকেটের জননী: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ দল যখন সেই ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি খেলে তখন আপনি জায়নামাজে বসে প্রার্থনা করেছেন। সেবারের সাফল্যই তৈরি করেছে আজকের অবস্থানের ভীত। তারপরও যতবার ক্রিকেট পথ হারিয়েছে আপনি দাঁড়িয়েছেন দিশারি হয়ে। আজও আরেকবার দিগভ্রান্ত ক্রিকেট। রক্ষা করতে পারেন আপনিই। তামিমকে ডেকে নিন আপনার স্নেহভরা মন নিয়ে। ফিরিয়ে আনুন। আপনার ডাক সে ফেরাবে না। কেউ ফেরাতে পারে না। তাহলে আরেকবার বেঁচে যাবে দেশের ক্রিকেট। বিশ্বকাপ নিয়ে যে স্বপ্ন দেখছে ১৬ কোটি মানুষ তাদের সেই স্বপ্ন উজ্জ্বল হবে আরও।’

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল আহমেদ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তামিম তারকা ক্রিকেটার, কিন্তু ক্ষমতার কাছে অসহায়। তার বিড়ম্বনা খালি চোখে ধরা পড়ার কথা না। নির্দেশিত হওয়ার পর অবসর প্রত্যাহার ছাড়া তার কোনো বিকল্প ছিল কি? তামিমের অবসরের ঘোষণায় এত আহা-উহু হলো, কিন্তু ক্রিকেট বোর্ডকে রাহুমুক্ত করার দাবি কোনো সংবাদমাধ্যমে শোনা গেল না।’

দ্য ডেইলি স্টারের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজা তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘তামিমকে ফেরানোর চেয়ে জরুরি ছিল পাপনকে সরানো।’

সাংবাদিক ও গবেষক মিঠুন মোস্তাফিজ শুক্রবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মাশরাফি ও তামিমের ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘মাশরাফিকে বিসিবি সভাপতি হিসেবে মানায়। এটা আমার ব্যক্তিগত পছন্দ।’

দৈনিক সমকালের গাজীপুর প্রতিনিধি ইজাজ আহমেদ মিলন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘পাপন বিদায়, মাশরাফি হোক বিসিবির সভাপতি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে এবার অবসরে পাঠান। তিনি ক্লান্ত! অনেক দিন তো হলো। দয়া করে মাশরাফি বিন মর্তুজাকে বিসিবির সভাপতি করুন। আমার এ প্রস্তাবের সঙ্গে কি কারো দ্বিমত আছে? আমার এই প্রস্তাব কি প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবে?’

দৈনিক দেশরুপান্তরের চট্টগ্রামে কর্মরত সাংবাদিক আকমল হোসেন একটি মিম শেয়ার করেছেন। তাতে পাপনকে রাগী বাবা, তামিমকে অভিমানী ছেলে ও মাশরাফিকে বুঝদার বড়ভাই আখ্যা দেওয়া হয়। সাংবাদিক আকমল লেখেন, ‘এই বুঝদার বড় ভাইকে বিসিবিতে পেলে খেলার চিত্রটা অন্যরকম হত।’

ক্রিকম্যাক ফেসবুক গ্রুপে টপ কন্ট্রিবিউটর আমানুল হাসান ইশাতও একই দাবি তুলেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘তামিমের অবসর ইস্যুতে বোর্ড সভাপতি পাপন সহ পুরো বোর্ড কে বিলুপ্ত করে মাশরাফি কে বোর্ড প্রধান করে সবকিছু ঢেলে সাজানো উচিত। সমস্যা গভীর থেকে সমাধান না হলে দেশের ক্রিকেটের জন্য সেটা ভালো হবে না। তামিমের এভাবে প্রস্থান মোটেও ভালো কিছু নয়, আজকে হয়তোবা তামিম! অদূর ভবিষ্যতে সাকিব, লিটন, শান্তর বেলায় ও তেমন কিছু যে হবেনা তার নিশ্চয়তা কে দিবে।’

৫০ হাজারের বেশি সদস্যের গ্রুপটির ওই পোস্টে অনেকেই সহমত জানিয়েছেন। তবে লেখক রাসয়াত রহমান জিকো অবশ্য বলেছেন, ‘পাপনই ঠিক আছে এদের জন্য।’

সাংবাদিক এসএ পলাশ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘অবসর ভেঙে মাঠে ফিরছেন তামিম! এবার দাবি, মাশরিফেকে বিসিবি সভাপতি করা হোক!’

অপর সাংবাদিক নাজমুল হোসেন অন্তর ফেসবুকে বলেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। অভিনন্দন তামিম ইকবাল। ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখনই সময় প্রিয় মাশরাফির হাতে বিসিবির নেতৃত্ব তুলে দেওয়া।’

ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক মনে করা হয় অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে। ২০১০ সালে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব পান মাশরাফি। কিন্তু ইনজুরির কারণে দল থেকে বাইরে চলে যান কয়েক বছরের জন্য। এরপর দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৪ সালে আবারও বাংলাদেশ ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব পান মাশরাফি। এরপর থেকেই পাল্টাতে থাকে বাংলাদেশের ক্রিকেটের চিত্র। পরে ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি ও ২০২০ সালে ওয়ানডে ক্রিকেটে সমাপ্তি টানলেন মাশরাফি।

২০২০ সালে যখন মাশরাফি অবসর নেন তখনও এমন দাবি উঠেছিল। বিসিবি এবং আইসিসির সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ জাহিদ আহসান রাসেলও সেসময় এ নিয়ে কথা বলেছিলেন।

সাংবাদিক এসএ পলাশ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘অবসর ভেঙে মাঠে ফিরছেন তামিম! এবার দাবি, মাশরিফেকে বিসিবি সভাপতি করা হোক!’

অপর সাংবাদিক নাজমুল হোসেন অন্তর ফেসবুকে বলেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। অভিনন্দন তামিম ইকবাল। ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখনই সময় প্রিয় মাশরাফির হাতে বিসিবির নেতৃত্ব তুলে দেওয়া।’

ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক মনে করা হয় অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে। ২০১০ সালে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব পান মাশরাফি। কিন্তু ইনজুরির কারণে দল থেকে বাইরে চলে যান কয়েক বছরের জন্য। এরপর দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৪ সালে আবারও বাংলাদেশ ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব পান মাশরাফি। এরপর থেকেই পাল্টাতে থাকে বাংলাদেশের ক্রিকেটের চিত্র। পরে ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি ও ২০২০ সালে ওয়ানডে ক্রিকেটে সমাপ্তি টানলেন মাশরাফি।

২০২০ সালে যখন মাশরাফি অবসর নেন তখনও এমন দাবি উঠেছিল। বিসিবি এবং আইসিসির সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ জাহিদ আহসান রাসেলও সেসময় এ নিয়ে কথা বলেছিলেন।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট