Friday, April 26, 2024

বোরো ধানের বাম্পার ফলনে খুশি চাষিরা

কৃষকরা আগাম জাতের ইরি-বোরো চাষ করে ভাল ফলন পেয়েছেন। এই অঞ্চলের মাটিতে ধানসহ অন্যান্য ফসলের বেশি উৎপাদন হয়। উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে কৃষকরা লাভবান হতে পারেন। বর্তমানে কৃষকরা পুরোদমে ধান কাটার উৎসবে মেতেছেন। নওগাঁর নিয়ামতপুরে ধানের ব্যাপক ফলন হয়েছে।

চলতি বছর নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ফলে কৃষকরা সময় মতো সেচ দিতে পেরেছেন। পাশাপাশি কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা নিয়মিত খোজ খবর নিয়েছেন। এবছর আবহাওয়া ভাল থাকায় ও জমির সঠিক পরিচর্যা করতে পারায় কৃষকরা বাম্পার ফলন পেয়েছেন। বর্তমানে কৃষকরা ধান কেটে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। সেখানে মাড়াই করে শুকিয়ে ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এখানকার কৃষকরা ইস্পাহানী-৮, বেবিলন, হীরা, মেটাল সীড হাইব্রিড, আর ব্রি ধান ২৮,৬৩, ৭৪, ৮১, ৮৪, ৮৬, ৮৮, ৮৯, ৯০, ৯২, বঙ্গবন্ধু ধান ১০০, জিরাশাইল কাটারী উফশী জাতের ২২,৩৬৫ হেক্টর বোরো ধানে আবাদ করেছেন।

চলতি মৌসুমে নিয়ামতপুরের ৮ ইউনিয়নে ২০ হাজার ৯৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। আর ২২ হাজার ৬৮৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে।

উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের আমইল গ্রামের কৃষক হোসেন আলী বলেন, এবছর আবহাওয়া ভাল থাকায় ও জমিতে সঠিক পরিচর্যা করাতে বেশি ফলন হয়েছে। আমি বিঘায় ২৪-২৮ মণ ফলন পেয়েছি। বাজারদর ভালো থাকলে আশা করি লাভবনা হতে পারবো।

বাহাদুরপুর ইউনিয়নের গোকুলপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল আজিজ বলেন, আমি এই মৌসুমে ৫ বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছি। জমিতে সময় মতো সার, সেচ দিতে পেরেছি। এছাড়াও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গাছের রোগবালাই কম হয়েছে। ফলন বেশি হয়েছে। ইতোমধ্যে আমার ২ বিঘা জমির ধান কেটেছি। এতে বিঘাপ্রতি ২৫ মণ করে ফলন পেয়েছি। বর্তমান বাজারে ১২০০-১৫০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে।

নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, কৃষকদের আগাম ধান চাষের জন্য উৎসাহিত করতে কৃষি বিভাগ থেকৈ সার, বীজ বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মাঠ পর্যায়ে আমাদের কর্মীরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছে। এখন পর্যন্ত এই উপজেলার ৪০ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে। কৃষকরা বর্তমানে ধান কাটার উৎসবে মেতেছেন।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট