Saturday, April 27, 2024

বিজয়নগরে লিচুর অধিক ফলনে ১৯ কোটি টাকার বাণিজ্যিক সম্ভাবনা!

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে লিচুর ব্যাপক ফলন হয়েছে। সীমান্তবর্তী এই উপজেলার লিচুর সুনাম দেশে ও বিদেশে রয়েছে। এখানকার লিচু যেমন সুস্বাদু তেমনে রসালো। ধীরে ধীরে কদর বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় সরবরাহ করা হয়।

লিচুর চাষে খরচ কম ও উৎপাদন হয় বেশি। এই উপজেলায় প্রায় ৫০ বছর আগে থেকে লিচুর চাষ শুরু হয়। দুই দফার লিচু বিক্রি হয়ে থাকে। প্রথমে গাছে যখন ফুল আসে তখন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে গাছ কিনে নেন। তারপর যখন ফল আসে তখন সেই ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন এলাকার বড় ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন। এতে কৃষকদের লোকসানে আশঙ্কা কম। এই উপজেলার প্রতিটি বাড়িতেই একটি করে লিচুর গাছ রয়েছে। অনেকে পতিত জমি ফেলে না রেখে লিচুর বাগান করেন। এইসব উৎপাদিত লিচু স্থানীয় বাজার হয়ে কুমিল্লা, নরসিংদী, ভৈরব, নোয়াখালী, চাঁদপুর, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ফেনী ও রাজধানী ঢাকার ব্যবসায়ীরা পাইকারী দরে লিচু কিনে নিয়ে যায়। এখানকার চাষিরা পাটনাই, বম্বে, চায়না থ্রি, চায়না-২ ও এলাচি এই ৫ জাতের লিচুর চাষ করেন।

উপজেলার বিষ্ণুপুর, কাঞ্চনপুর, কাশিমপুর, সিঙ্গারবিলসহ সবগুলো গ্রামে ও এলাকায় লিচুর ব্যপক চাষ করা হয়। অল্প খরচে বেশি উৎপাদন ও বাজারদর ভাল থাকায় লাভবান হতে পারা যায় তাই কৃষকরা এর চাষ ঝুঁকছেন। হরষপুর গ্রামের লিচু চাষী আবুল হাসেম বলেন, আমার বাগানে ৫০ টি লিচু গাছ আছে। গত বছরের তুলনায় এবছর লিচুর বেশি ফলন হয়েছে। আশা করছি এই বছর ৪ লাখ টাকার লিচু বিক্রি করতে পারবো।

কামালপুর গ্রামের বাগান মালিক কাউছার ভূইয়া বলেন, আমার ৪টি বাগান আছে। যাতে ১৭০টি লিচু গাছ রয়েছে। গতবারের চেয়ে এবার বেশি ফলন পেয়েছি। আশা করছি ১২ লাখ টাকার লিচু বিক্রি করতে পারবো।

বিজয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাব্বির আহমেদ বলেন, চলতি বছর এই উপজেলায় ৪৩০ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ করা হয়েছে। এতে ৯০০টি লিচু বাগান আছে। মৌসুমের শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এই উপজেলা থেকে ১৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা লিচু বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট