Tuesday, May 7, 2024

আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করেই থামল বাংলাদেশ

বল হাতে আফগানিস্তানকে ধরাশায়ী করার পর ব্যাট হাতে দারুণ নৈপুণ্যে দেখিয়েছে টাইগাররা। শেষ টি-টোয়েন্টিতে রশিদ খানের দল বধ হয়েছে ৬ উইকেটের ব্যবধানে। সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশ করেই সিরিজ জিতেছে সাকিবের দল।

রোববার (১৬ জুলাই) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ১৭ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রান সংগ্রহ করে আফগানরা। ডিএলএস পদ্ধতিতে টাইগারদের টার্গেট গিয়ে দাঁড়ায় ১১৯ রান। কারণ ৭.২ ওভারের পর ম্যাচে বৃষ্টি হানা দিলে দেড় ঘণ্টা খেলা বন্ধ থাকে। এরপর ৩ ওভার কমিয়ে খেলা ১৭ ওভার নির্ধারণ করা হয়। ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ অবশ্য জয় তুলে নেয় ৫ বল হাতে রেখেই।

এর আগে আফগানদের ব্যাটে পাঠিয়ে শুরুতে সাকিব বোলিংয়ে আনেন তাসকিনকে। সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমাণ করেন তারকা পেসার, আফগানিস্তানের দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দেন দ্রুত। দুই রান নিয়ে ইনিংস শুরু করা ওপেনার গুরবাজ চতুর্থ বলেই ছক্কা হাঁকান ডানহাতি তাসকিনকে। পরের বলে তাসকিনের হাতেই বন্দি হন, ৫ বল খেলে করে যান ৮ রান। এই উইকেট দিয়ে ছোট সংস্করণে ৫০তম উইকেটের দেখা পান ডানহাতি পেসার তাসকিন।

দ্বিতীয় ওভারে শরিফুলের পরিবর্তে দলে ফেরা হাসান মাহমুদ মাত্র ২ রান দেন। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি হাঁকান জাজাই। চতুর্থ বলে লিটন দাসের গ্লাভসে ক্যাচ দেন তাসকিনের বলে, ৫ বল খেলে ৪ রান করে যান।

বোলারদের ধারাবাহিকতার মাঝে সন্ধ্যা ৬টা ৩৬ মিনিটে ৭.২ ওভার শেষে হানা দেয় বেরসিক বৃষ্টি। দেড়ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ থাকায় কাটা যায় তিন ওভার। পরে ৮টা ১৫ মিনিটে খেলা শুরু হয়।

বৃষ্টি বিরতির পর আফগানিস্তানের উপর চড়াও হয় বাংলাদেশ। মাঠে নেমে দুই-এক রানের উপর জোর দিয়ে খেলতে থাকে আফগান দলটি। নবম ওভারে নবীকে আউটের তিনটি সুযোগ তৈরি হলেও নিতে পারেননি আফিফ, সাকিব ও লিটন। সহজ ক্যাচ মিস করেন সাকিব ও লিটন।

দশম ওভারে আর ভুল করেননি লিটন। মোস্তাফিজের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলে লুফে নেন এ উইকেটকিপার। ২২ বল খেলে নবী করে যান ১৬ রান।

১১তম ওভারের প্রথম বলে সাকিবের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন ডানহাতি জাদরান। ২৭ বল খেলে ২২ রান করেছেন। একই ওভারের শেষ বলে সাকিবের দ্বিতীয় শিকার হন বিধ্বংসী নাজিবুল্লাহ জাদরান। ৩ বলে পাঁচ রান করেন তিনি। ৬৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় সফরকারী দল।

১৬তম ওভারের পঞ্চম বলে ১০৯ রানে টাইগারদের ষষ্ঠ শিকার এনে দেন মোস্তাফিজ। এক্সট্রা কভারের উপর দিয়ে মারতে গিয়ে আজমতুল্লাহ ওমরাজাই ধরা পড়েন শামীম হোসেনের হাতে। ২১ বলে ২৫ রান করেন আফগান অলরাউন্ডার।

পরের ওভারেই করিম জানাতকে নিজের তৃতীয় শিকার বানান তাসকিন। সতেরোতম ওভারের তৃতীয় বলে শান্তর ক্যাচ হয়ে ফেরেন জানাত। ব্যাট হাতে ১৫ বলে ২০ রান করেন তিনি। পরে রশিদ খান ও মুজিব উর রহমান শেষ করেন ইনিংস। ৩ বলে ৬ রান করেছেন রশিদ, মুজিব ১ বলে ১ রান।

টাইগারদের হয়ে তিনটি উইকেট নেন তাসকিন। সাকিব ও মোস্তাফিজ নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট