Tuesday, June 6, 2023

গারো পাহাড়ে সাম্মাম চাষে তরুণদের লাভের আশা

এই ফলটি দেশের বিভিন্ন এলাকায় চষ হলেও শেরপুরের সীমান্তবর্তী এলাকার গারো পাহাড়ের তরুণরা পরীক্ষামূলক চাষে সফলতা পেয়ে এখন বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ শুরু করেছেন। এই ফল চাষে সফলতার খবর পেয়ে আশপাশের এলাকার মানুষ এসে দেখে যাচ্ছেন এবং চাষের পরামর্শ নিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের গারো পাহাড়ে চাষ হচ্ছে মরুভূমির ফল সাম্মাম।

দেখতে বাঙ্গির মতো তবে ভেতরে রসে গুণে ভরপুর এই ফল। বাজারে এর দামও বেশ ভালো। ফলে এই উচ্চ মূল্যের ফলটি গারো পাহাড়ের পতিত জমিতে চাষাবাদে লাভবান হওয়ায় এলাকায় ও আশেপাশে বেশ সাড়া ফেলেছে। বর্তমানে উদ্যোক্তাদের চাষকৃত জমিতে গাছে ঝুলছে গোল গোলা সাম্মাম ফল। অধিক রসালো, মিষ্টি ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এখন গারো পাহাড়ের পাশাপাশি আশেপাশের এলাকায় এর চাষ ছড়িয়ে যাচ্ছে। এর দুটি জাত রয়েছে। একটির বাইরের অংশ সবুজ আর ভেতরের অংশ লাল, আরেকটি জাতের বাইরের অংশ হলুদ এবং ভেতরের অংশ লাল।

সীমান্তবর্তী গোমরা গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি অনলাইনের মাধ্যমে সাম্মামের চাষ দেখেছি। তারপর বীজ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ১০ শতক জমিতে বীজ বপন করি। এখন ফল পাকতে শুরু করেছে। মাত্র ৩০ দিনের মধ্যেই গাছে ফুল আসা শুরু করে।

তিনি আরও বলেন, বীজ বপনের মাত্র ৩ মাসের মধ্যেই ফল বাজারজাত করা সম্ভব। এই ফল চাষে আমার ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতিটি ফল দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের হয়েছে। এতে এবছর আমি দেড় থেকে ২ লাখ টাকার ফল বিক্রি করতে পারবো। বাজারে পাইকারি ১৫০-২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. হুমায়ুন দিলদার বলেন, আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ আগের তুলনায় অনেকটা সহজ হয়েছে। তাই তরুণরা এখন কৃষি কাজের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন। আমরা তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবো। স্থানীয় তরুণরা মরুর ফল সাম্মাম চাষে লাভের আশা করছেন।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট