Monday, May 6, 2024

নাটোরে থাই পেয়ারা চাষে দুই ভাইয়ের সাফল্য!

বর্তমানে তাদের বাগানে প্রায় ২ হাজার পেয়ারা গাছ রয়েছে। তারা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের পাশাপাশি অনেকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন। নাটোরে থাই পেয়ারা চাষে দুই ভাই রাজু ও সাজুর সাফল্য। তারা সদর উপজেলায় ফতেঙ্গাপাড়ায় ১০ বিঘা জমি লিজ নিয়ে পেয়ারার চাষ করেন।

দুই ভাই রাজু ও সাজু নাটোর শহরের চকবৈদ্যনাথ মহল্লার বাসিন্দা। পেয়ারা চাষ করে তাদের সংসারে সুদিন ফিরে এসেছে। তারা ১০ বিঘা জমিতে থাই পেয়ারা চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। এছাড়া দেশি কলা ও চাইনিজ লেবুও চাষ করছেন। ফলগুলোকে যেন পোকামাকড় আক্রমণ করতে না পারে তাই তারা ব্যাগিং পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন। বর্তমানে তাদের বাগানের ২ হাজার গাছের প্রায় প্রতিটিতেই ছোট-বড় থাই পেয়ারায় ভরে গেছে।

থাই পেয়ারা সারা বছরই চাষ করা যায়। চারা লাগানোর ১০ মাসের মধ্যেই এর ফলন পাওয়া যায়। এই ফল খেতে মিষ্টি, ও পুষ্টিকর। বাজারে এর বেশ চাহিদা রয়েছে। সাজু ও রাজুর বাগানে পেয়ারা ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। তাই খুব সহজেই বিক্রি করতে পারা যায়।

বাগানের মালিক রাজু ও সাজু বলেন, আমরা ১০ বিঘা জমি লিজ নিয়ে থাই পেয়ারা চাষ করেছি। এটি উন্নত জাতের পেয়ারা প্রথমদিকে ফলন কম পেলেও এখন বেশি ফলন পেয়েছি। পাইকাররা জমি থেকেই পেয়ারা নিয়ে যাচ্ছেন। প্রতি কেজি পেয়ারা ৩০-৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যায়। বর্তমানে আমাদের বাগানে ২০ জন নিয়মিত কাজ করছেন। অনেকে আমাদের বাগানটি ঘুরে দেখতে আসেন। আবার অনেকে পরামর্শ নিয়ে বাগান করে স্বাবলম্বীও হয়েছেন। আমরা ২ বছরে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকার পেয়ারা বিক্রি করেছি।

পাইকারি ব্যবসায়ী বাবর আলী বলেন, আমি রাজু ও সাজুর বাগান থেকে পেয়ারা কিনে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করে থাকি। আমি ছাড়াও অন্যান্য পাইকাররা তাদের বাগান থেকে পেয়ারা সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় সরবরাহ করে থাকেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নীলিমা জাহান বলেন, রাজু ও সাজু দুই ভাই এলাকার যুবকদের অনুপ্রেরনা হয়ে উঠেছেন। যুবকরা তাদের সফলতা দেখে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। আমরা রাজু ও সাজুসহ সকল পেয়ারা চাষি ও উদ্যোক্তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করবো। থাই পেয়ারা একটি উন্নত জাত। আমরা কৃষকদের এই জাতের পেয়ারা চাষের জন্য উৎসাহিত করছি। এটি সারাবছরই ফল দিয়ে থাকে।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট