খন্দকার ফরহাদুল হক পরীক্ষামূলকভাবে বাড়ির উঠানে ফলের বাগান করে সাড়া ফেলেছেন। তিনি বাড়ির উঠানকে ফলের বাগানে রূপ দিয়েছেন। আশেপাশের ও অন্য গ্রাম থেকেও শৌখিন মানুষরা তার বাগানটি দেখতে আসছে। আর এসেই আসে সফলতা। তার সফলতা দেখে অনেকেই এমন বাগান করতে আগ্রহী হয়েছেন। বর্তমানে তিনি বাণিজ্যিকভাবে ফলের চাষ শুরু করেছেন।
খন্দকার ফরহাদুল হক ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকার বলিদা পাড়ার বাসিন্দা। তিনি একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। বিভিন্ন কৃষি বাগান ঘুরে তার ভাল লাগে। তারপর তার নিজেরই এমন একটি বাগান করার ইচ্ছা হয়। সারাদিন কাজ করে বাগানে সময় দেওয়া সম্ভব নয় তাই বাড়ির কৃষি জমি থাকার পরেও উঠানে পরিক্ষামূলক চাষ করেন। ৩ বছর আগে গড়ে তোলা বাগানে গৌড় মতি, রেড তাইওয়ান, গ্রিন তাইওয়ান, ব্যানানা ম্যাংগো, বারি-৪ আমসহ লিচু, লংগান, মাল্টা, পেয়ারাও রয়েছে। বিভিন্ন জাতের আমের পাশাপাশি ড্রাগন ও আঙুর চাষ রয়েছে তরি বাগানে। তিনি এখন চাকরি ছেড়ে পুরোপুরিভাবে বাগানের কাজে যুক্ত হয়েছেন।
ফরহাদ বলেন, আমি একটা প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতাম। সেই চাকরি ছেড়ে দিয়ে এখন ছোট একটি ব্যবসা করছি আর বাগানের দেখাশোনা করছি। বাগানে পরিধি বাড়ানোর জন্যই আমি চাকরি ছেড়ে দেই। আমার কৃষি প্রজেক্ট দেখতে প্রতিদিন অনেক মানুষ আসেন। আমার বাগানের সবগুলো গাছেই আম ধরেছে। আশা করি লাভবান হতে পারবো। আম ছাড়াও আমার বাগানে অন্যান্য আরো ফলের গাছ রয়েছে। যেগুলো থেকে সারাবছর ফলন পাই। আর লাভবান হতে পারি। আমি সবাইকে বাগান করার পরামর্শও দিয়ে থাকি।
রাজশাহীর কৃষিতে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষি উদ্যোক্তা মনিরুজ্জামান মনির বলেন, আমি ফরহাদের বাগানটি দেখেছি। তিনি পরিক্ষামূলকভাবে এর চাষে সফলতা পেয়েছেন। সবাইকে আমার একটাই পরামর্শ যারা কৃষি উদ্যোক্তা হতে চায় তারা যেন ফরহাদের মতো উঠানে পরীক্ষামূলক চাষ করে তারপর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করেন।