Tuesday, May 7, 2024

ব্ল্যাক রাইস চাষে কলেজ পড়ুয়া নাহিদের সাফল্য!

ব্ল্যাক রাইস চাষে তরুণ উদ্যোক্তা নাহিদের সাফল্য। তিনি শখের বশে ভিয়েতনামি ব্ল্যাক রাইসের চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। তার সফলতা দেখে অনেকেই এই ধান চাষে আগ্রহী হয়েছেন। অনেকে আবার তার কাছ থেকে এই ধানের বীজ সংগ্রহ করতে আসছেন।

তরুণ উদ্যোক্তা নাহিদ মিয়া টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌরসভার পশ্চিম পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি ডিগ্রি প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করছেন। তার পাশাপাশি শখের বশে ৫০ শতাংশ জমিতে ভিয়েতনামি ব্ল্যাক রাইস চাষ করছেন। আবহাওয়া ভাল ও মাটি উর্বর হওয়ায় জমিতে ভাল ফলন হয়েছে। এখন তার জমিতে ব্ল্যাক রাইস বাতাসে দোল খাচ্ছে। দূর থেকে দেখতে অন্যান্য জমি থেকে আলাদা দেখায়। তাই প্রতিদিন অনেকেই তার জমিতে এই ধান দেখতে আসেন। অনেকে এর চাষ করার জন্য নাহিদের কাছে পরামর্শও চেয়েছেন।

নাহিদ মিয়া বলেন, আমি অনলাইনের মাধ্যমে এই জাতের ধানের চাষাবাদ দেখি। তারপর এর চাষ করাার পরিকল্পনা করি। তারপর অনলাইন থেকে প্রতি কেজি ৫০০ টাকা দরে ৫ কেজি বীজ সংগ্রহ করি। তারপর বীজতলা তৈরী করে তা থেকে চারা নিয়ে আমাদের ৫০ শতাংশ জমিতে রোপন করি। বীজ কেনায় ২৫০০ টাকা ও এর চাষে মোট ৬-৭ হাজার টাকা খরচ হয়।

তিনি আরও বলেন, আমি পড়াশোনার পাশাপাশি প্রথমবারের মতো এই জাতের ধান চাষে সফল হয়েছি। এই ধান ৯০-১০০ দিনের মধ্যে কেটে ঘরে তোলা যায়। জমিতে ব্যাপক ফলন হয়েছে। আশা করছি এই ৫০ শতাংশে ৪০-৪৫ মণ ধান উৎপাদন হবে। আমাদের গ্রামের অনেকেই এই ধান চাষ করার জন্য আগ্রহী হয়েছেন। অনেকে আবার আমার কাছে বীজের জন্য অর্ডার দিয়ে রেখেছেন। আর আগামীতে আরো বেশি জমিতে এই ধানের চাষ করবো। তাই এবারের ফসল অল্প দামে বীজ হিসেবে কৃষকদের কাছে বিক্রি করবো।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট