Wednesday, May 8, 2024

৪ জাতের তরমুজ চাষে তরুণ উদ্যোক্তা ইমরানের সাফল্য!

জমিতে হলুদ তরমুজ যার ভেতরে লাল, সবুজ যার ভেতরে লাল, কালো যার ভেতরে লাল ও সবুজ যার ভেতরে হলুদ রঙের তরমুজের চাষ করছেন। সবগুলো জাতের তরমুজেরই ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। এতে প্রথমবার এর চাষে লাভের আশা করছেন তিনি। এক জমিতে চার জাতের তরমুজ চাষে তরুণ উদ্যোক্তা ইমরানের সাফল্য।

তরুণ উদ্যোক্তা ইমরান কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের খামা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কৃষি বিভাগের পরামর্শে তার ৩৩ শতাংশ জমিতে এই চার জাতের তরমুজের চাষ করেন। প্রথমবার চাষেই ব্যাপক ফলন পান তিনি। কয়েক জাতের তরমুজ একই জমিতে চাষ হওয়ায় এক নজর দেখতে প্রতিদিন অনেক মানুষ তার জমিতে ভীড় করছেন। বর্তমানে তার জমির মাচার ফাঁকে ফাঁকে ঝুঁলছে শত শত তরমুজ। আর প্রতিটি গাছেই ৪-৫ টি করে তরমুজ ধরেছে। প্রতিটির গড় ওজন দুই থেকে আড়াই কেজি। অনেকে জমিতে দেখতে এসে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। জমিতে প্রায় ১৬০০ গাছ রয়েছে।

উদ্যোক্তা ইমরান হোসেন বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শে আমার ৩৩ শতাংশ জমিতে চার জাতের তরমুজের চাষ করেছি। জমিতে প্রায় ১৬০০ চারা লাগানো হয়েছে। আর সবগুলো গাছই মাচায় উঠানো হয়েছে। চাষে আমার ৫০-৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। জমিতে যে পরিমান তরমুজ রয়েছে তাতে দ্বিগুণেরও বেশি লাভবান হতে পারবো। ইতোমধ্যে ৩০-৪০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছি।

বাগান দেখতে আসা আবু বক্কর ছিদ্দিক , শামসুদ্দিন সুমন বলেন, আমরা কয়েকজন মিলে ইমরানের জমিটি দেখতে এসেছি। শুনেছি তার জমিতে হলুদ রঙের তরমুজের চাষ করা হচ্ছে। তাই দেখতে এসেছি। হলুদ রঙের তরমুজ আমরা খেয়েছি। এটির ভেতরে লাল ও খেতে খুবই সুস্বাদু। আমরা বাড়ির জন্যও নিয়ে যাচ্ছি।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ হামিমুল হক সোহাগ বলেন, গ্রীষ্মকালীন ও অসময়ের তরমুজ চাষ খুবই লাভজনক। আমরা বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় বেকার তরুণ-যুবকদের তরমুজ চাষে উৎসহিত করছি। তার দেখাদেখি অনেকেই এর চাষে আগ্রহী হয়েছেন। আমরা সকলকেই সহযোগিতা করবো। এই প্রকল্পের আওতায় জৈব সার ব্যবহারে তরুণ উদ্যোক্তা ইমরান এই তরমুজ চাষ করে সফল হয়েছে।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট