Saturday, April 27, 2024

৩৫ মণের ডলারের দাম হাঁকানো হচ্ছে ২৫ লাখ!

গরুগুলো যেমন বড় হয় তেমনি বেশি বেশি ওজনেরও হয়ে থাকে। তেমনি সিরাজগঞ্জে আরাভ অ্যাগ্রো নামের একটি খামারে ‘ডলার’ নামের আমেরিকান ব্রাহমা ও ব্রাঙ্কাস প্রজাতির ৩৫ মণ ওজনের একটি ষাঁড় লালন পালন করা হয়। বিশাল এই ষাঁড়টির দাম হাঁকানো হচ্ছে ২৫ লাখ টাকা। কোরবানির ঈদ আসলেই বিভিন্ন নামের গরু ছাগল লালন পালনের খরব শোনা যায়।

ফার্মটি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত। অন্যান্য খামারের মতো এই খামারেও কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য ডলার নামক ষাঁড়টিকে প্রস্তুত করা হয়েছে। গরুটির উচ্চতা প্রায় ৬ ফুট, দৈর্ঘ্য সাড়ে ৯ ফুট ও প্রস্থ প্রায় ৩ ফুট। দিনে ৩ বেলা গোসল ও প্রকৃতিক খাবার খাওয়ানো মাধ্যমে গরুটিকে বড় করা হয়। এই গরুটিকে দেখতে প্রতিদিন অনেক মানুষ খামারে ভিড় করছে। এছাড়াও মৌসুমি নানা ধরনের ফল খেয়ে থাকে গরুটি।

এই জেলার ৯ উপজেলায় প্রায় ১৭ হাজার ছোট বড় খামারি ও কৃষকরা গবাদিপশু মোটাতাজা করেছেন। এতে ঈদ উপলক্ষ্যে খামারে ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৩৯৬টি গবাদিপশু মোটাতাজা করা হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ২ লাখ ২৬ হাজার ৩৯৬টি পশু সারা দেশে যাবে।

ফার্মের ব্যবস্থাপক আলমগীর হোসেন বলেন, জেলার অন্যান্য গরুর মধ্যে আমাদের খামারের ডলার বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বিশাল আকারের এই গরুটিকে দেখতে প্রতিদিন অনেক মানুষ ভিড় করছেন। আমাদের এই গরুটি সিরাজগঞ্জে সবচেয়ে বড় গরু।

ফার্মের মালিক জাহিদ হাসান জেমি বলেন, ডলারকে গত ৯ মাস আগে নাটোর থেকে নিয়ে আসা হয়। তারপর এর সঠিক পরিচর্যা করা হয়। আমেরিকান ব্রাহমা ও ব্রাঙ্কাস প্রজাতির গরুটি প্রতিদিন প্রায় ১৭০০ টাকার খাবার খেয়ে থাকে। এর আগে ডলারকে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীতে তোলা হয়েছিল। তখন দেশের দেশের দ্বিতীয় ও জেলার সবচেয়ে বড় গরু হিসেবে পুরস্কার পায়। ইতোমধ্যে ক্রেতারা ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বলেছেন। পরে কিছুটা কমবেশি করে বিক্রি করা হবে। বর্তমানে দামদর চলছে।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা গৌরাংগ কুমার তালুকদার বলেন, আমরা এই খামারের গরু ডলারকে বিভিন্ন রোগের টিকা দেওয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে তারা ভাল দামে বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন। এছাড়াও প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট