Monday, May 6, 2024

যেসব কারণে এখনই মাশরাফিকে বিসিবি সভাপতি করা যাবে না

তামিমের অবসর ভেঙে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটা ফেরার নেপথ্যের কারিগর জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতিসহ বাকি সবাই যখন তামিমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অথবা অবসর ঘোষণা দেয়া থেকে বিরত থাকতে মানাতে পারছে না তখনই ত্রাতা হয়ে এলেন মাশরাফি।

গণভবনে তামিমের যাওয়া থেকে অবসর ভেঙে ফেরা পর্যন্ত মাশরাফির ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। আর এতেই দেশের সাধারণ দর্শক থেকে মাশরাফি ভক্ত, অনেকেই দাবি তুলেছে তাকে বোর্ড প্রেসিডেন্ট করার। বোর্ড কর্তাদের ওপর অভিমান করে হঠাৎই অবসরের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা ওপেনার ও ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। অবশ্য ওই ঘোষণার ৩০ ঘণ্টার মধ্যেই অবসর ভাঙারও ঘোষণা দেন তামিম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটার।

এই দাবিটা অবশ্য ক্রিকেট প্রেমিদের অনেক দিনের। অনেকে বলছে মাশরাফির নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল যেমন বদলে গেছে ঠিক তেমনি বদলে যাবে দেশের সর্বোচ্চ ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাটিও। তামিমের অবসর থেকে ফেরার ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই মাশরাফিকে বিসিবি সভাপতি করার দাবিতে পোস্ট করেছে।

মাশরাফিকে বোর্ড সভাপতি করার দায়িত্ব বেশ পুরনো। ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর এমআর রাবিনুল ইসলাম রবি নামে এক সমর্থক তার ফেসবুকে লেখেন, #জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি হ্যামিল্টন মাসাকাদজা #ভারত ক্রিকেট বোর্ড সভাপিত সৌরভ দাদা… বিসিবি সভাপতি মাশরাফি বিন মর্তুজাকে চাই।

যদিও সমর্থকদের এই দাবি চাইলেই বাস্তবায়ন করা যাবে না। কারণ বিসিবির সভাপতি হলে নির্বাচনের মাধ্যমে আসতে হবে। এছাড়াও আরও কিছু বিধি বিধান রয়েছে।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতি পদে প্রার্থীকে অবশ্যই পরিচালক হইতে হবে। সভাপতি, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এর পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক নির্বাচিত হইবেন। এছাড়াও কান্সিলর হয়ে তিন বছরের দায়িত্ব পালন করতে হয়।

মাশরাফির এমন কোনো অভিজ্ঞতা না থাকায় চাইলেও এখনই সাবেক এ অধিনায়ককে বোর্ড সভাপতি করা যাবে না। এছাড়া বিসিবির নির্বাচনেরও অনেক দিন বাকি।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট