Thursday, May 16, 2024

প্রেমের টানে মালয়েশিয়ান কন্যা নোয়াখালীতে!

জীবিকার সন্ধানে গত ৫ বছর আগে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুর এলাকার কবির হোসেনের ছেলে ফরহান হোসেন (২৮)। তিনি সেখানে লাডাং হোপফুল এলাকার হাটতালিকানামের একটি কোম্পানীতে চাকরি নেন। ওই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে গিয়ে পরিচয় হয় সেই দেশী তরুণী স্মৃতি আয়েশা বিন রামাসামি’র (২২) সঙ্গে। এরপর থেকে দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

চলতি বছরে ফরহান হোসেন-এর কাজ শেষ হওয়ায় দেশে ফিরে আসেন তিনি। ফরহাদ দেশে চলে আসায় একা কোন ভাবে নিজদেশে মন টিকতেছিলো না স্মৃতি আয়েশার। ফরহাদের প্রেমের টানে স্মৃতি আয়েশা অবশেষে গত ২৪ জুন বাংলাদেশে চলে আসে।

মালয়েশিয়া কন্যার নোয়াখালীতে আগমনে ফরহাদের এলাকার লোকজনের মধ্যে আনন্দের জোয়ারবইছে, তাকে একনজর দেখার জন্য ফরহাদের বাড়িতে ছুঁটে আসছেন লোকজন। ভিনদেশী কন্যা পেয়ে খুশি ফরহাদ হোসেনের পরিবার। তাই ঈদের বাড়তি আমেজ বইছে তাদের পরিবার জুড়ে। জানা গেছে, গত ২৪ জুন বাংলাদেশে আসার পর পরদিন ২৫ জুন আদালতের মাধ্যমে এফিডেভিটের মাধ্যমে ফরহাদ ও স্মৃতি আয়েশা বিন রামাসামির বিয়ে সম্পন্ন হয়। এতে হৈ চৈ পড়েছে পুরো এলাকায়।

স্মৃতি আয়েশার সঙ্গে প্রেম ও বিয়ে সম্পর্কে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমি মালেশিয়ার একটি কোম্পানিতে চাকরি করার সময় স্মৃতির সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে ভালোবাসা। দীর্ঘ সাড়ে চার বছরের সম্পর্ক আমাদের। আমি বাড়ি আসার পর আমার ভালোবাসার টানে আমার সাথে যোগাযোগ করে স্মৃতি বাংলাদেশে চলে আসে। সে দেশী আইন অনুযায়ী স্মৃতি প্রাপ্ত বয়স্ক তাই সে নিজে সিদ্ধান্ত নিয়েই বাংলাদেশে এসেছে। আমরা এখানে বিয়ে করেছি। এতে আমি, স্মৃতি ও আমার পরিবারের সবাই খুশি।’

কিছুটা বাংলা বলতে পারা স্মৃতি আয়শা বিন রামাসামি বলেন, ‘ফরহাদ হোসেনকে আমি ভালোবাসি, আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসী। এখানকার পরিবেশ, আতিথিয়েতা ও সবার ভালোবাসা আমাকে মুগ্ধ করেছে। ফরহাদের পরিবারের সবাই আমাকে আপন করে নিয়েছেন। সবাইকে নিয়ে মিলেমিশে চলতে পেরে আমি ভীষণ খুশি।’

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট