অবশেষে গতকাল শুক্রবার এলো চিত্রনায়িকা, চলচ্চিত্র পরিচালক রোজিনার জীবনের সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। এদিনে মুক্তি পেয়েছে তার পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘ফিরে দেখা’। ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বেশ কয়েকটি সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে তার সিনেমাটি।
প্রথম দিনে ঢাকার কয়েকটি হলে দর্শকের সাথে বসে সিনেমাটি উপভোগ করেছেন তিনি। ‘ফিরে দেখা’ সিনেমার কাহিনী, সংলাপ, চিত্রনাট্য রচনা করেছেন রোজিনা নিজেই। তবে এ ক্ষেত্রে তাকে সহযোগিতা করেছেন মুজতবা সউদ। সিমোটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রোজিনা, ইলিয়াস কাঞ্চন, নিরব, স্পর্শিয়াসহ আরো অনেকে। প্রথমবার সিনেমা নির্মাণ, সিনেমাটি দেখার জন্য দর্শকের প্রতি আহ্বান ও অন্যান্য প্রসঙ্গে রোজিনা বলেন, ‘এর আগেও আমি নাটক টেলিফিল্ম নির্মাণ করেছি। তবে সিনেমা এবারই প্রথম পরিচালনা করেছি। নাটক টেলিফিল্ম নির্মাণ করা ততটা চ্যালেঞ্জিং নয়, সিনেমার মতো বড় ক্যানভাসে গল্প গুছিয়ে নির্মাণ করা অনেক কঠিন। তাও আবার ১৯৭১ সালের মুক্তি যুদ্ধের গল্প নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করা।
আমার ছোটবেলা কেটেছে রাজবাড়ির গোয়ালন্দতে নানাবাড়িতে। আমি নিজের চোখে মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি। তো নিজের চোখে মুক্তিযুদ্ধ দেখার সেই গল্পও উঠে এসেছে ফিরে দেখা সিনেমায়। বিশেষত এই প্রজন্মের তরুণ-তরুণীদের এই সিনেমাটি দেখা উচিত এ কারণেই যে, আমরা কত কষ্ট করে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই দেশ স্বাধীন করেছি। আমি কৃতজ্ঞ এই সিনেমার সব শিল্পী কলাকুশলীর প্রতি। তারা আমাকে ভীষণ সহযোগিতা করেছেন।’ উল্লেখ্য, এর আগে ‘রোজিনা ফিল্মস’ থেকে ‘জীবন ধারা’ ও ‘দোলনা’ সিনেমা প্রযোজনা করেছিলেন রোজিনা। আলমগীর রোজিনা অভিনীত শিবলী সাদিক পরিচালিত ‘দোলনা’ সিনেমাটি এখনো দর্শকের কাছে ভীষণ প্রিয়।
এই সিনেমার ‘তুমি আমার কত চেনা সে কী জানো না’ গানটি এখনো দর্শকের কাছে ভীষণ প্রিয়। বাংলাদেশের সিনেমার গানে এই গান এক মাইলফলক গান। গানটি লিখেছেন মনিরুজ্জামান মনির, সুর সঙ্গীত করেছিলেন আলম খান। গানটি গেয়েছিলেন সাবিনা ইয়াসমিন ও অ্যান্ড্রু কিশোর। এদিকে শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডে পৌনে দুই কোটি টাকা ব্যয়ে দৃষ্টিনন্দন একটি মসজিদ তৈরি করেছেন তিনি।
তুরস্কের নকশায় করা মসজিদটির নাম দিয়েছেন তিনি নিজের মায়ের নামে-‘দশ গম্বুজ খাদিজা জামে মসজিদ’। টানা দুই বছরে নির্মাণকাজ শেষ করে গত বছর ১ এপ্রিল জুমার নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে এ মসজিদের উদ্বোধন করা হয়।
