Wednesday, May 15, 2024

কচুর লতি চাষে স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেক কৃষক

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও জমি চাষের উপযোগী হওয়ায় লাভবনা হচ্ছেন কৃষকরা। কচুর লতি চাষে স্বাবলম্বী হচ্ছেন জয়পুরহাটের কৃষকরা। লাভজনক হওয়ায় দিন দিন কচুর লতি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন স্থানীয় চাষিরা। কচুর লতিকে এখানকার মানুষ রাজ লতি হিসেবে অভিহিত করে থাকে।

জেলার অন্যান্য উপজেলার তুলনায় পাঁচবিবি উপজেলায় অধিক হারে লতিরাজ কচু চাষ হয়ে থাকে। পাঁচবিবি উপজেলার আগাইর গ্রামের কৃষক মোসলেম উদ্দিন, জাহিদুল ইসলাম, রতনপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম, কেশবপুর গ্রামের কৃষক আবেদ আলী জানান লতি চাষ এখন বেশ লাভজনক। ওইসব দেশের বাঙালী অধ্যুষিত শহরগুলোতে লতিরাজ কচুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। জয়পুরাটে উৎপাদিত এ লতি কয়েক বছর ধরে ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় ২৫টি দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।

দেশব্যাপী জয়পুরহাটে চাষ হওয়া এ লতিরাজ কচু উন্নতমানের হওয়ায় এর চাহিদা। যা দেশের অন্য কোন অঞ্চলে পাওয়া যায় না। যদিও বর্তমানে চারা বিতরণের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলায় উন্নত জাতের এ লতিরাজ চাষের চেষ্টা চলছে। সে করণে এ লতিরাজ কচুর চাষ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ছড়িয়ে পড়ছে দেশ থেকে বিদেশেও।

জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শ ম মেফতাহুল বারি বলেন, লতিরাজ কচুর চাষ অন্যান্য ফসলের তুলনায় অনেক লাভজনক হওয়ায় জেলা ব্র্যান্ডিং হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। জেলায় উৎপাদিত উন্নত জাতের এ লতিরাজ কচু বর্তমানে বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মূদ্রা আয় হচ্ছে।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট