Wednesday, May 1, 2024

ইউরোপে যাচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ের আম

বর্তমানে দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশেও এই আমের চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনের লক্ষ্যে এখানকার আম প্রথমবারের মতো ইউরোপ রপ্তানি করা হচ্ছে। ঠাকুরগাঁওয়ে বিষমুক্ত আম্রপালি, বানানা ম্যাংগো ও বারি আম-৪ জাতের আমের চাষ করা হয়েছে। খেতে সুস্বাদু ও মিষ্টি হওয়ায় এই জাতের আমের বেশ চাহিদা রয়েছে।

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার আম বাগানি পলাশ চন্দ্রের বাগান থেকে নেওয়া তিনটি জাতের ৫০০ কেজি আম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে বিদেশে আম রপ্তানির সূচনা হয়। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন চাষিদের চাষকৃত আম আমদানি করা হচ্ছে। রপ্তানি করার লক্ষ্যেই চাষিদের বাগানে বিষমুক্তভাবে আমের চাষ করা হয়। এতে আরো আম রপ্তানি করার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে প্রথম চালান যাচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, জেলায় ৭৯৫০ একর জমিতে ৪২০১টি বাগানে ২২ জাতের আম আবাদ করা হয়েছে। যার মধ্যে এবারে ৫০ থেকে ১০০ মেট্রিক টন আম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

কৃষক পলাশ চন্দ্র বলেন, আমি বাগানে বিষমুক্তভাবে আম চাষ করে থাকি। আমার বাগানের আম ইউরোপে রপ্তানির জন্য বিক্রি করেছি। আশা করছি কিছুদিনের মধ্যেই আরও অর্ডার পাবো।

এদিকে রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠান জানান, স্থানীয় অনেক ব্যবসায়ীরা কৃষকদের জিম্মি করে তাদের কাছ থেকে কম দামে আম কিনে থাকে। এতে কৃষকরা তাদের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হন। আমরা কৃষকের পাশে আছি। আমরা কৃষকদের থেকে ন্যায্য দামে আম কিনে দেশের বাজারের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি করবো।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এবারই প্রথম ইউরোপে আম পাঠানো হচ্ছে। বাহিরে আম পাঠানোর কারণে চাষিরাও ভাল দাম পাচ্ছেন। পাশাপাশি স্থানীয় শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে জেলার অর্থনীতির পরিবর্তন আসবে চাহিদা বাড়ায় এখান থেকে আরও বেশি পরিমাণে আম রপ্তানি করা হবে।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট