আফ্রাহিম বাদশা মানিক দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার মাধববাটী গ্রামের বাসিন্দা। দিনাজপুরে লিচু চাষে অভাবনীয় সফলতা পেয়েছেন তিনি। তিনি তার বাবাকে লিচুর চাষ করতে দেখে পরে নিজে উদ্যোক্তা হয়ে বাগান গড়ে তুলেছেন। এবছর তিনি তার বাগান থেকে ৫০ লাখ টাকার লিচু বিক্রির আশা করছেন।
তিনি দিনাজপুর সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পাওয়ার টেকনোলজিতে পড়াশোনা শেষ করে উপ-প্রকৌশলী হিসেবে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তারপর চাকরি নিজেই একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করেন। করোনার সময় ব্যবসায় লোকসান হলে তিনি বাড়ি চলে আসেন। তার বাবার করা সেই লিচু চাষে তিনিও মনোনিবেশ করেন। তার ১০ একর জমিতে লিচুর বাগান রয়েছে। আশানুরূপ ফলন পাওয়ায় তিনি এবার ৫০ লাখ টাকার লিচু বিক্রির আশা করছেন। বাগানে প্রায় ৪৫০টি গাছ রয়েছে।
কৃষি উদ্যোক্তা আফ্রাহিম বাদশা বলেন, আমি পড়াশোনা শেষে চাকরি করেছি। তারপর আবার নিজে ব্যবসাও করেছি। ব্যবসায় লোসানের পর বাবার দেখানো পথকেই বেছে নিয়েছি। আমাদের পারিবারি লিচু বাগানের পাশাপাশি কিছু জমি লিজ নিয়েও বাগান করেছি। ১০ একর জমিতে আমার লিচুর বাগান রয়েছে। সেখানে ৪৫০টি লিচুর গাছ রয়েছে। এবছর আবহাওয়া ভাল থাকায় ফলন বেশি হয়েছে। আশা করছি এবছর ৫০ লাখ টাকার লিচু বিক্রি করতে পারবো। দাবদাহের কারণে কিছুটা ক্ষতি হলেও বর্তমান বাজারদর ভাল থাকায় লাভবান হতে পারবো।
কৃষি উদ্যোক্তা আফ্রাহিম আরও বলেন, আমি বাগান করায় এলাকার অনেকেরই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। চুক্তিভিত্তিতে শ্রমিকরা কাজ করেন। এতে তাদের আর্থিক উন্নতি হয়েছে। পাইকাররা আমার বাগানে সরাসরি এসে লিচু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে আমি মনে করি লিচু চাষে আমাদের আরো আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় প্রয়োজন। আর চাষিদের সরকারিভাবে ঋণের ব্যবস্থা করলে নতুন নতুন আরো অনেক উদ্যোক্তা সৃষ্টি হতো। পাশাপাশি লিচু সংরক্ষণের জন্য হিমাগারের ব্যবস্থা থাকলে চাষিদের জন্য লাভজনক হতো।