Saturday, July 27, 2024

হেক্টর প্রতি ফলন ২০ টন, মিষ্টি আলু চাষে ঝুঁকছেন বরগুনার চাষিরা!

অন্যান্য ফসলের তুলনায় মিষ্টি আলু চাষে খরচ ও পরিশ্রম কম। গাছের রোগবালাই তেমন নেই বললে চলে। এছাড়াও উৎপাদিত আলুর বাজারদর ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। লাভজনক হওয়ায় মিষ্টি আলু চাষে ঝুঁকছেন বরগুনার চাষিরা।

বরগুনার উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষকরা দিন দিন মিষ্টি আলু চাষে ঝুঁকছেন। এর চাষে খরচ কম হওয়ায় কৃষকরা অল্প পুঁজিতে চাষ করে লাভবান হতে পারেন। এই অঞ্চলের মাটি মিষ্টি আলু চাষের উপযোগী হওয়ায় কৃষকরা অধিক ফলন পেয়ে থাকেন। এবছর বরগুনার কৃষকরা প্রতি হেক্টরে ২০ মেট্রিক টন ফলন পেয়েছেন। ফলে প্রতি বছর কৃষকরা আগ্রহ নিয়ে এই আলুর চাষ করেন। পাশাপাশি বাজারে প্রতি কেজি মিষ্টি আলু ২০-২৫ টাকা দরে বিক্রি করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে।

কৃষক লাবলু মিয়া বলেন, আমি বিগত ৩ বছর যাবত মিষ্টি আলুর চাষ করতেছি। প্রতি বছরই লাভবান হতে পারছি। তাই এবছর আবার চাষ করেছি। আমাদের এলাকায় আমি ছাড়াও অনেকে এর চাষ করে লাভবান হয়েছেন। দাম ভাল থাকায় আমরা লাভবান হতে পারছি। চলতি বছর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মিষ্টি আলু ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা কৃষক মাছুম রানা বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শে ৪ বিঘা জমিতে দেশি জাতের মিষ্টি আলুর চাষ করেছি। দেশে এই আলু বহুমাত্রিক ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে চাহিদা। তাই আমরা লাভের আশায় আগ্রহ নিয়ে এর চাষ করছি। গত বছরের তুলনায় এবছর দাম বেশি থাকায় আশা করছি লাভবান হতে পারবো। এবছর জমিতে ভাল ফলন হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বরগুনার কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু সৈয়দ জোবায়দুল আলম বলেন, চলতি বছর এই জেলায় ১০৫০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও ৮৭৫ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। আমরা কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করছি। আশা করছি আগামীতে চাষের পরিমান আরো বৃদ্ধি পাবে। এতে কৃষকরা হেক্টর প্রতি ২০ মেট্রিক টন ফলন পেয়েছেন।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট