Saturday, July 27, 2024

সহজে করা যাবে ইউটিউব থেকে আয়

দিনের অধিকাংশ সময় মানুষ ইউটিউবে নাটক, সিনেমা বা টিউটোরিয়াল দেখে কাটান। ইউটিউব হলো বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম। তবে, ইউটিউব দেখে সময় নষ্ট না করে ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন লাখ লাখ টাকা। অনেকে মনে করে যে, ইউটিউবে চ্যানেল খুলে ভিডিও আপলোড করলেই আয় করা যায়। কিন্তু এটা একটি ভুল ধারণা।

ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে আপনার ভিডিওতে ৪ হাজার ভিউ হতে হবে এবং ১ হাজার গ্রাহক থাকতে হবে তবে এখন ইউটিউবের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী কেবলমাত্র ৫০০ সাবস্ক্রাইবার থাকলেই সেই চ্যানেল থেকে আয় করা সম্ভব হবে।

এ ঘোষণার আগে ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ার জন্য বেশ কিছু শর্ত মেনে চলতে হতো কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের। যার মধ্যে অন্যতম শর্ত হল ১,০০০ সাবস্ক্রাইবার। যা কমিয়ে ৫০০তে আনা হয়েছে। এছাড়া ওয়াচটাইম কমানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। যা ৪,০০০ থেকে কমিয়ে ৩,০০০ করা হয়েছে। শর্টস ভিডিওর ক্ষেত্রে ভিউ ১০ মিলিয়ন থেকে হ্রাস করে ৩ মিলিয়ন করা হয়েছে।

এই নতুন নীতিমালা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, তাইওয়ান ও দক্ষিণ কোরিয়ার ইউটিউব ব্যবহারকারীদের জন্য প্রযোজ্য। তবে পর্যায়ক্রমে বিশ্বের অন্যান্য দেশে নতুন নীতিমালা চালু হবে ।
ইউটিউব থেকে আয় করতে :

১. চ্যানেল তৈরি করুন: প্রথমেই ইউটিউবে একটি চ্যানেল তৈরি করতে হবে। চ্যানেলটির নাম এবং বর্ণনা ভালো করে নির্বাচন করুন, যাতে ব্যবহারকারীরা চ্যানেলটি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পায়।

২. ভিডিও তৈরি করুন: ভিডিও তৈরি করার জন্য আপনি একটি ক্যামেরা ব্যবহার করতে পারেন বা স্ক্রিন রেকর্ড করতে পারেন। ভিডিওগুলি আপনার চ্যানেলে আপলোড করুন এবং যে ভিডিওগুলি আপনি তৈরি করছেন তা আপনার টার্গেট পাবলিকের জন্য মানসম্মত এবং আকর্ষণীয় হবে তা নিশ্চিত করুন।

৩. পাবলিশ মনিটাইজেশন: আপনার চ্যানেলের লক্ষ্য হলো মনিটাইজ করা, অর্থাৎ আপনি ইউটিউব থেকে আয় উপার্জন চান। আপনাকে প্রতিটি ভিডিওতে পাবলিশ মনিটাইজেশন সামগ্রী সংযোজন করতে হবে, যেমন বিজ্ঞাপন, স্পন্সরশিপ, অ্যাফিলিয়েট লিংক ও ইত্যাদি।

৪. ভিডিও প্রচার করুন: ভিডিও পাবলিশ হওয়ার পর যতটা সম্ভব বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার করুন। আপনি সামাজিক মাধ্যম, ব্লগ, ওয়েবসাইট ইত্যাদি ব্যবহার করে আপনার ভিডিওগুলি প্রচার করতে পারেন।
যে কোনো ভালো কনটেন্ট খুব দ্রুত দর্শকদের মনে জায়গা করে নেয় তাই চেষ্টা করুন ভালো মানের ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করতে। এটি আপনাকে দীর্ঘমেয়াদি ইউটিউব থেকে উপার্জন করার সুবিধা প্রদান করবে এবং কপিরাইট এবং ভায়োলেশন সমস্যা থেকে আপনি অনেকটাই নিরাপদে থাকতে পারবেন।
মনে রাখতে হবে কোন শর্টকাট উপায়ে উপার্জন করার চিন্তা করা যাবে না কারণ এটি একদমই অস্থায়ী একটি উপার্জনের পন্থা এবং খুব দ্রুতই আপনাকে হতাশায় ডুবিয়ে দেবে।

প্রতিটি মানুষের মধ্যেই একটি ভালো কিছু করার গুণ থাকে খুঁজে বের করুন আপনার গুণ কোনটি রয়েছে সে বিষয়ের উপরে ভালোভাবে ভিডিও তৈরি করুন এবং ধৈর্য ধরুন আশা করা যায় আপনি খুব ভালো ফলাফল পাবেন এবং ভালো একটি উপার্জন ইউটিউব থেকে করতে পারবেন।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট