Saturday, July 27, 2024

মৌসুমী শাক-সবজি চাষে আলমগীরের মাসিক আয় ২৫ হাজার!

ডাঁটাশাক, পুঁইশাক, ঢেঁড়স, লালশাক, পাটশাক, বেগুন, করলা, বরবটিসহ বিভিন্ন প্রকারের শাক-সবজি চাষ করেন আলমগীর হোসেন। তার উৎপাদিত এই শাক-সবজি গুলো নিজেই বাইসাইকেলে করে বিক্রি করেন। এতে নিজের পরিবারের সবজির চাহিদা মিটিয়ে বাকি সবজি বিক্রি করে তিনি মাসে প্রায় ২০-২৫ হাজার টাকা আয় করছেন। তার এমন সফলতা দেখে আশেপাশের অনেকেই শাক-সবজির চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। মৌসুমী সবজি চাষে লাভবান কৃষক আলমগীর হোসেন। তিনি

কৃষক আলমগীর হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের বাসিন্দা। অন্যান্য ফসলের তুলনায় শাক-সবজি চাষে তুলনামূলক খরচ কম। তাই তিনি সংসারের অভাব দূর করতে সারাবছর জুড়ে বিভিন্ন শাক-সবজির চাষাবাদ করে থাকেন। বর্তমানে তিনি শাক-সবজির পরিচর্যা ও তা বাইসাইকেলে করে গ্রামে গ্রামে বিক্রি করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। উৎপাদন বেশি ও বাজারদর ভাল থাকলে লাভবান হওয়া যায়।

কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, জীবিকার তাগিদে প্রবাসে চলে যাই। সেখানে সুবিধা করতে না পেরে দেশে ফিরে আসি। এরপর স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে বাড়ির পাশের দেড় বিঘা জমিতে প্রথম লালশাক, ডাঁটাশাক, পুঁইশাক, বেগুন চাষের মাধ্যমে শুরু করি। ফলন বেশি হওয়ায় পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে ও সকল খরচ বাদে ভাল আয় করতে পারছি। এরপর থেকেই মৌসুমী সব ধরনের শাক-সবজি চাষ করা শুরু করে দেই।এতে প্রতিদিন প্রায় ১২০০-১৫০০ টাকার সবজি বিক্রি করতে পারি। এছাড়াও অনেকে বাড়িতে এসে সবজি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আমার জমিতে উৎপাদিত শাক-সবজি প্রতিদিন বাইসাইকেলে করে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করি।

স্থানীয়দের মতে, কৃষক আলমগীর প্রতিদিন সকালে তর জমির টাটকা সবজি নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বিক্রি করেন। তার শাক-সবজি গুলো খুব ভাল। বাজারের তুলনায় তার কাছ থেকে কম দামে টাটকা সবজি কিনতে পারা যায়। আমরা তার কাছ থেকেই কিনে থাকি।

আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম বলেন, আলমগীর নিজেকে একজন আদর্শ কৃষক হিসেবে গড়ে তুলেছেন। তিনি সারাবছর প্রায় সব ধরনের সবজির চাষ করেন। তার আবাদকৃত শাক-সবজি তিনি নিজেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিক্রি করেন। আমরা তাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা করছি। আর মানুষ টাটকা শাক-সবজি কিনতে পেরে খুশি।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট