Saturday, April 20, 2024

মেসেঞ্জারের স্ক্রিনশট ফাঁসের দিন শেষ

ওয়েব ২.০ ছাড়িয়ে এখন আমরা ওয়েব ৩.০ তে প্রবেশ করছি। ওয়েব ৩.০-এর মূল প্রতিপাদ্যই হলো একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর তথ্যের সুরক্ষা। অনলাইনে নিজের কার্যাবলির ওপর শতভাগ পর্যবেক্ষণের ক্ষমতা। বিশ্বের বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এখন ওয়েব ৩.০-এর দিকে ঝুঁকছে। এই সুরক্ষার কথা চিন্তা করেই মেসেঞ্জার সার্ভিসে এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন প্রযুক্তি চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘মেটা’।

এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন এর অর্থ হল, কোনো মেসেঞ্জার ব্যবহারকারী অন্য কোনো মেসেঞ্জার গ্রাহককে বার্তা পাঠালে শুরুতেই তা দুর্বোধ্য ও খোলা চোখে অর্থহীন সাইফার টেক্সটে পরিণত হবে। পরে সেটি প্রাপকের কাছে যাওয়ার আগে ডিক্রিপ্ট হয়ে প্রেরকের বার্তাটি ফুটিয়ে তুলবে। ফলে প্রেরক ও প্রাপকের মধ্যেই শুধু এ বার্তার এক্সেস বা প্রবেশ অনুমতি থাকবে। এতে করে তৃতীয় কোনো ব্যক্তি নজরদারির চেষ্টা করলে সে শুধু সাইফার টেক্সটই পাবে। যার অর্থ তার কাছে দুর্বোধ্য।

ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকেই গ্রাহকের আস্থা অর্জনকে প্রাধান্য দিচ্ছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘মেটা’। এদিকে গ্রাহকের তথ্য বিক্রি ও সুরক্ষা দিতে না পারার অভিযোগ রয়েছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ফেসবুকের বিরুদ্ধে। তবে ‘মেটা’ নামে আত্মপ্রকাশের পর তারাও গ্রাহকের সুরক্ষার দিকটি বিবেচনা করছে। মেটাভার্সের জগতে গ্রাহক সুরক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ।

প্রযুক্তিবিষয়ক অনলাইন পোর্টাল টেকভাইরালের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘মেটা’ তাদের মেসেঞ্জার সার্ভিসে এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন ফিচার যুক্ত করেছে। এছাড়া স্ক্রিনশট শনাক্তকরণ প্রযুক্তি, মেসেজ রিএ্যাকশন ও টাইপিং ইন্ডিকেটর ফিচারও যুক্ত করেছে মেটা।

তবে এসব ফিচার নিজে থেকে চালু হবে না। গ্রাহককে সেটিংসে গিয়ে এই অপশন চালু করতে হবে। মার্ক জুকারবার্গ বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া এক বার্তায় বলেছেন, আমরা আজ ফেসবুক মেসেঞ্জারের জন্য এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন ফিচার চালু করতে যাচ্ছি। এটি গ্রাহকের বার্তা পাঠানোর অভিজ্ঞতাকে আরো উন্নতি করবে।

এছাড়াও জুকারবার্গ বার্তায় জানিয়েছেন, ‌সাইবার অপরাধ ও হ্যাকারদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে এটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে যে, আমরা যাতে আমাদের পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় রেখে নিরাপদে যোগাযোগ করতে পারি।

মেসেঞ্জার স্ক্রিনশট শনাক্তকরণ ফিচারের ফলে কোনো ব্যক্তি যদি মেসেঞ্জারের বার্তার স্ক্রিনশট নেয় কিংবা স্টোরিতে দেয়া ছবির স্ক্রিনশট নেয়, তবে সঙ্গে সঙ্গে মেসেঞ্জার ব্যবহারকারীর কাছে নোটিফিকেশন চলে যাবে। এছাড়াও ডিলিট করা মেসেজের স্ক্রিনশট রাখলেও নোটিফিকেশন চলে যাবে। এই ফিচার সামনের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ফেসবুক চালু করতে যাচ্ছে। এতে ব্যক্তিগত মেসেজের স্ক্রিনশট ফাঁসের প্রবণতা কমবে বলে আশাবাদী জুকারবার্গ।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট