Saturday, July 27, 2024

বিঘাপ্রতি ফলন ১২ মণ, বাদাম চাষে লাভবান শাহজাদপুরের চাষিরা

চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও চরের মাটি এই ফসল চাষের উপযোগি হওয়ায় চাষিরা ভাল ফলন পেয়েছেন। এছাড়াও অন্যান্য ফসলের তুলনায় এর চাষে খরচ ও ঝুঁকি কম। আর বাজারদর বেশি থাকায় চাষিরা উৎপাদিত বাদাম বিক্রি করে লাভবান হতে পারেন। সিরাজগঞ্জে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে বাদাম চাষ। এই জেলার শাহজাদপুরে যমুনার তীরবর্তী চরাঞ্চলের কৃষকরা বাদামের চাষে ঝুঁকছেন।

জেলার শাহজাদপুরের সোনাতনী ও গালা ইউনিয়ের যমুনা নদীর তীরে জেগে উঠা চরগুলোতে ব্যাপক পরিমানে বাদামের চাষ হচ্ছে। এছাড়াও বাঙালা, রতনদিয়া, জগতলার চর, বড় চামতারা, ছোট চামতারা, কুরশী, বারো পাখিয়া সহ সবগুলো চরেই বাদামের চাষ হচ্ছে। চরের মাটি বেলে দো’আঁশ হওয়ায় দেশি ও চিনাবাদামের ব্যাপক ফলন হয়। বেশি ফলন ও ভাল বাজারদর পাওয়া যায় বলে কৃষকরা লাভবান হতে পারেন এবং এর চাষে ঝুঁকছেন। সাধারনত কৃষকরা এই দুই জাতের বাদামেরই চাষ করে থাকেন। এর চাষে উৎপাদন ব্যয় কম। অনেক সময় সেচ ও নিড়ানিরও প্রয়োজন পড়ে না।

শাহজাদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চরাঞ্চলের জমিতে বাদামের ব্যাপক ফলন পাওয়া যায়। এছাড়াও চরে এর চাষ করলে খরচও কম লাগে। চলতি বছর যমুনার চরের চাষিরা বিঘাপ্রতি ১০-১২ মণ বাদামের ফলন পেয়েছেন। চরের চাষিরা দিন দিন বাদামের চাষে ঝুঁকছেন।

চামতারা গ্রামের চাষী রহমত আলী বলেন, আমি এবছর ২ বিঘা জমিতে বাদামের চাষ করেছি। অন্যান্য ফসলের তুলনায় এর চাষে খরচ কম ও লাভ করা যায় বলে প্রতি বছর বাদামের চাষ করে থাকি। এবছর বিঘা প্রতি ১২ মণ ফলন পেয়েছি। আর আগামীতে আরো বেশি জমিতে বাদামের চাষ করবো। বাজারদর ভাল আছে। আশা করি লাভবান হতে পারবো।

বেনুটিয়া গ্রামের চাষী বাচ্চু মিয়া বলেন, আমি এবছর ১ বিঘা জমিতে বাদামের চাষ করেছি। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আশানুরূপ ফলন পাওয়া গেছে। বাজারে প্রতিমণ শুকনো বাদাম ৪০০০-৪৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আশা করছি লাভবান হবো। এছাড়া বাজারে বাদামের দরও ভালো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, যমুনা চরের কৃষকদের বাদাম চাষে উৎসাহিত করতে বিনা মূল্যে সার ও ঢাকা-১, ঢাকা-৪ বাড়ি চীনা বাদাম, বিতরণ করা হয়েছে। আমরা কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ ও সহযোগিতা করছি। নদীর চরের চাষিরা ব্যাপকহারে বাদামের চাষ করেছেন।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট