Saturday, July 27, 2024

বাণিজ্যিকভাবে সাম্মাম চাষে সামিউলের সাফল্য!

সামিউল ব্যাচেলর অব এগ্রিকালচার বিষয়ে শিক্ষা লাভ করে একটি বীজ কোম্পানীতে চাকুরিতে যোগ দেন। সেখানে দীর্ঘদিন কার করার ফলে বীজ সম্পর্কে তার দারুণ অভিজ্ঞতা হয়। তারপর তিনি মরুর দেশের এই ফলের চাষ করে সফলতা অর্জন করেন। তার দেখাদেখি অনেকেই এর চাষ করে সফল হয়েছেন। বগুড়ায় মরুর ফল সাম্মাম চাষে সফল সামিউল ইসলাম।

উদ্যোক্তা সামিউল ইসলাম নওগাঁ জেলার বাসিন্দা। চাকরির সুবাদে তিনি বগুড়ায় থেকে যান। নিজে কিছু করার চিন্তা থেকে তিনি চাকরি ছেড়ে বগুড়া সদর উপজেলার বাঘোপাড়া মহিষবাথান সড়কের পাশে অল্প কিছু জমি লিজ নিয়ে মরিচ, পেঁপে, টমেটো, বেগুনসহ বিভিন্ন সবজির চারা উৎপাদন ও বাজারজাত শুরু করেন। তিনি নিজেই একজন খামারি হয়ে যান। অ্যাগ্রো ওয়ান গ্লোবাল লিমিটেড নামে নিজের খামার গড়ে তোলেন। তার দেখাদেখি অনেকেই এর চাষে আগ্রহী হয়েছেন। বর্তমানে তিনি তার খামারে মাচা পদ্ধতিতে বাণিজ্যিকভাবে সাম্মাম চাষ করছেন। চাষে তিনি সফলও হয়েছেন।

সামিউল ইসলাম বলেন, আমি এক বিঘা জমিতে প্রায় ৩ হাজার ৫০০টি সাম্মামের চারা লাগিয়েছি। এর গাছের খুব বেশি একটা ক্ষতি হয় না। চারা রোপনের ৬০-৬৫ দিনের মধ্যেই ফলন পাওয়া যায়। দেখতে কিছুটা বাঙ্গির মতো দেখালেও এটি খুবই সুস্বাদু। এছাড়াও ভাল মাটি ও সঠিক পরিচর্যা করলে প্রতিটি গাছে ২-৩টি ফল পাওয়া যায়। আর প্রতিটি ফলের ওজন দেড় থেকে দু্ই কেজি পর্যন্ত হবে। সাম্মাম চাষে আমার ৬০-৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি প্রায় ২ লাখ টাকা আয় করতে পারবো।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) মো. এনামুল হক বলেন, এই উপজেলায় কয়েকজন উদ্যোক্তাই সাম্মাম চাষ করছেন। ফলটি দেখতেও সুন্দর আর খেতেও বেশি সুমিষ্ট। মরুর দেশের ফল হওয়ায় আমাদের দেশে এর ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা তাদেরকে যথাসাধ্য সহযোগিতা করছি। এছাড়াও বাজারে ভাল দামে বিক্রি করে তারা লাভবান হতে পারছেন।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট