দক্ষিণ আফ্রিকার অপরিচিত কন্ডিশনে বাউন্সি উইকেটে একজন বাংলাদেশি ফাস্ট বোলার হিসেবে অনন্য অবদান রাখেন তাসকিন। এক এক করে পাঁচটি উইকেট তুলে নেন তিনি। পঞ্চম উইকেট রাবাদাকে সাজঘরে ফিরিয়ে বাঁধভাঙা উল্লাস করে সিজদায় লুটিয়ে পড়েন তাসকিন। অনেক্ষণ সিজদারত অবস্থায় ছিলেন তিনি।
গতকাল বুধবার ‘অঘোষিত ফাইনালে’ ৯ ওভারে মাত্র ৩৫ রান খরচ করে ৫ উইকেট শিকার করেন তাসকিন। তার বিধ্বংসী বোলিংয়ের কারণেই চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারেনি স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। তাসকিনের গতির মুখে পড়ে সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে ৩৭ ওভারে ১৫৪ রানেই অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
শেষদিকে এসে লিটন দাস উইকেট হারালেও লড়াই চালিয়ে যান বাংলাদেশের দলপতি। তার ৮৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে শেষ পর্যন্ত ১৪১ বল হাতে রেখেই জয়ের দেখা পায় টাইগাররা। এদিকে, দুর্দান্ত বোলিং করে ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে তাসকিনের হাতে। পাশাপাশি জিতে নিয়েছেন সিরিজ-সেরার পুরস্কারও।
এর মাধ্যমে দীর্ঘ আট বছর পর নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তাসকিন দ্বিতীয়বারের মতো ম্যাচে ৫টি উইকেট পেয়েছেন।