Friday, March 29, 2024

দক্ষিণ আফ্রিকায় ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে আজ টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিকদের বিপক্ষে রেকর্ড রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। লিটন দাস, সাকিব আল হাসান এবং ইয়াসির আলী রাব্বির হাফসেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩১৪ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে, ব্যাটিং করে দক্ষিণ আফ্রিকা। সব উইকেট হারিয়ে ৪৮.৫ ওভার খেলে ২৭৬ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে ৩৮ রানের বিশাল ব্যবধানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ জয় পায়। সেই সাথে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। কেন না, এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে ওডিআাইতে বাংলাদেশের কোনো জয় ছিল না। আজকে সেই রেকর্ড ভেঙ্গে ইতিহাস গড়ল টাইগাররা।

এদিকে, বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই তিন উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা৷ এরপর আফ্রিকাকে টানতে থাকেন ভ্যান ডার ডুসেন। কিন্তু পরপর দুইবার তার আউট নিয়ে দেখা দিয়েছে বিতর্কের। ডুসেন তখন ৮১ রানে অপরাজিত, ৩৪ তম ওভারে রাসি ফন ডার ডুসেন ক্রিজে ঠিকঠাক পৌঁছেছেন, টিভি আম্পায়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এমন। তবে পরে আবারও দেখানো রিপ্লেতে দেখা যাচ্ছিল, আদতে পপিং ক্রিজের দাগের পর থেকে ব্যাটটা ওপরেই ছিল তাঁর।

নিয়ম অনুযায়ী, ক্রিজে ওপাশে একবার ব্যাট মাটির সঙ্গে স্পর্শ করলেই সেটিকে ‘গ্রাউন্ডেড’ ধরে নেওয়া হবে। তবে ফন ডার ডুসেনের ব্যাট যেমন ওপরে ছিল, পা-ও ছিল ক্রিজের বাইরেই। সেক্ষেত্রে রান-আউটই হওয়ার কথা ছিল তাঁর। দুই ধারাভাষ্যকার পমি মবঙ্গওয়া ও আতহার আলী খানও ‘একমত’ হয়েছেন—৮১ রানেই ড্রেসিংরুমে ফেরার কথা ফন ডার ডুসেনের। সেটি হয়নি, মিলারের সঙ্গে তাঁর জুটি ছুঁয়েছে পঞ্চাশ। এরপর অবশ্য খুব বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। নিজের শেষ ওভারে ৮৬ রান করা ডুসেনকে ফেরান তাসকিন আহমেদ।

শরীফুল ইসলামের লেগ সাইডের বলে খেলতে গিয়েছিলেন রাসি ফন ডার ডুসেন। উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিম ও বোলার শরীফুল ইসলামের জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। তামিম ইকবালও রিভিউ নেননি এরপর। রিভিউ নেওয়ার সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর ওয়াইড দিয়েছেন আম্পায়ার বংগানি ইয়েলে। সেটিতে ঠিক সন্তুষ্ট হতে পারেননি তামিম। রিপ্লেতে শব্দ শোনা গেলেও আল্ট্রা-এজে পরে দৃশ্যমান স্পাইক দেখা যায়নি।

এর আগে, ম্যাচের শুরুতে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ফলে ব্যাট করতে নামে সফররত বাংলাদেশ দল। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত সূচনা পায় সফরকারীরা। ওপেনিং জুটিতেই তামিম এবং লিটন মিলে তুলেন ৯৫ রান।

অতপর ব্যক্তিগত ৪১ রানে আউট হন দলীয় ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। তামিম আউট হওয়ার পরের ওভারেই ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করেন লিটন কুমার দাস। তবে সেই ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি। আউট হওয়ার আগে করেন ৫০ রান। আর মুশফিক ফেরেন মাত্র ৯ রানে।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে আপনতালে খেলে যান সাকিব আল হাসান এবং ইয়াসির আলি রাব্বি। দুজন মিলে গড়েন ১১৫ রানের জুটি। দুজনই ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করেন। সাকিব এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকেই। কিন্তু লুইগি এনগিদির বলে আউট হওয়ার আগে করেন ৭৭ রান। এদিকে ব্যক্তিগত অভিষেক ফিফটির দেখা পেয়েছেন ইয়াসির রাব্বি। আউট হয়েছেন ৫০ রানেই।

শেষদিকে মাহমুদউল্লাহ, আফিফ এবং মেহেদিরা মিলে দলীয় স্কোরটা তিনশর ঘর ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। ১৭ বলে ২৫ রানে মাহমুদউল্লাহ এবং ১৩ বলে ১৭ রানে আউট হন আফিফ হোসেন। আর ১৩ বলে ১৯ রানে মেহেদি ও ৫ বলে ৭ রানে তাসকিন অপরাজিত থাকেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন মার্কো জানসেন এবং কেশব মাহারাজ।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট