Saturday, July 27, 2024

গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে লাভবান জয়পুরহাটের চাষিরা

এই তরমুজ চাষ করা সহজ, খরচ কম লাগে এছাড়াও বাজারে এর বেশ চাহিদা রয়েছে। ফলে এখানকার কৃষকরা গ্রীষ্মকালীন তরমুজের চাষ করে লাভবান হচ্ছে। এবং সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থান। গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে লাভবান জয়পুরহাটের চাষিরা। এতে চাষিরা মাচা পদ্ধতিতে হলুদ, সবুজ ও ডোরাকাটা রঙের তরমুজের চাষ করছেন।

কৃষকদের জমিতে বাঁশের মাচায় হলুদ, সবুজ ও ডোরাকাটা শত শত তরমুজ ঝুলছে। তরমুজগুলোর ভেতরের রং হলুদ ও লাল। খেতে খুবেই মিষ্টি। আর বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকাররা ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছেন। কৃষকরা প্রতিদিন জমি থেকে তরমুজ তুলে রাস্তার পাশে রাখেন।

চলতি বছর জেলার পাঁচ উপজেলায় ৪৫ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজের চাষ হয়েছে। তার মধ্যে আওলাই ইউনিয়নের ভূতগাড়ী, ভারাহুত, শিরট্টি, গোড়নাসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকায় তরমুজের বেশি চাষ হয়েছে। আর খুচরা ৬০-৬৫ টাকায়। কৃষকদের উৎপাদিত তরমুজ স্থানীয় পাইকারি বাজারে ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।

তরমুজ চাষি আবু মুসা মণ্ডল বলেন, এই অঞ্চলে আমিই প্রথম এই তরমুজের চাষ করি। চলতি বছর সাড়ে ৩ বিঘা জমি ৪০ হাজার টাকায় ইজারা নিয়ে এই তরমুজের চাষ করেছি। চাষে বিঘাপ্রতি ৪০-৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়। জমিতে ফলন ভালো হলে প্রতিবিঘায় ৮০-১০০ মণ তরমুজ উৎপাদন হয়। আমি ইতোমধ্যে ১৬০০-১৮০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছি। বাজারদর ভালো থাকলে এক থেকে দেড় লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করা যায়।

কৃষক ফরিদুল ইসলাম বলেন, আমি এবছর আড়াই বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। আমার জমিতে হলুদ ও সবুজ জাতের তরমুজ রয়েছে। শীত মৌসুমে আমরা এই জমিতে আলু চাষ করি। এই জাতের তরমুজ বছরে ৯ মাস তরমুজ চাষ করা যায়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক মজিবুর রহমান বলেন, এই জেলায় কয়েক জাতের তরমুজের চাষ হয়। তারমধ্যে ব্লাক বেবি, মধুবালা, গোল্ডেন ক্রাউন, ইয়েলো কিংসহ কয়েকটি জাত রয়েছে। এখানাকর কৃষকদের কাছে এর চাষ বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আশা করা যাচ্ছে এবছর ২৫ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি হবে। গত বছর এই জেলা থেকে প্রায় ১৫ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি হয়।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট