বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে সোহানুর রহমান সোহানের মৃত্যুর খবরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানার জন্য ফোন করা হয় মৌসুমীকে। ফোন ধরেই এ নায়িকা বলেন, গতকাল ভাবী মারা গেলেন। আর আজ শুনি ওস্তাদ সোহানও নেই। এরপরই স্বামী ও চিত্রনায়ক ওমর সানীর কাছে ফোন ধরিয়ে দেন এ অভিনেত্রী। ওমর সানী সোহানুর রহমান সোহানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সবাইকে তার জন্য দোয়া করতে বলেন।
বরেণ্য পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের মৃত্যুর খবর জানার পরই হাউমাউ করে কেঁদে উঠেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মৌসুমী। কান্না করা স্বাভাবিক। এই নির্মাতার হাত ধরেই রঙিন পর্দায় অভিষেক হয়েছিল তার। আর আজ সেই মানুষটি পাড়ি জমালেন না ফেরার দেশে। যে মানুষকে আর কোনোদিন ওস্তাদ বলে ডাকা হবে না মৌসুমীর।
মৌসুমীর বাংলা চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে। ১৯৯৩ সালের ২৫ মার্চ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় সিনেমাটি। এটি পরিচালনা করেছিলেন সোহানুর রহমান সোহান। এতে মৌসুমী ছাড়াও অভিষেক হয়েছিল সালমান শাহর। সিনেমাটি মুক্তির পর ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল দর্শকমহলে। আর কালজয়ী এই সিনেমার নায়ক সালমান শাহ অনেক আগেই প্রয়াত হয়েছেন। এবার বিদায় নিলেন পরিচালক।
এদিকে মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সোহানুর রহমান সোহানের স্ত্রী প্রিয় রহমান স্ট্রোক মরে মারা যান। স্ত্রীর মৃত্যুর পরদিনই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’সহ বহু হিট সিনেমার পরিচালক।