Wednesday, July 24, 2024

এক আম গাছে আট প্রজাতির আম, পাওয়া যাবে ১২ মাস

মিয়াজাকি, পালমার্ক, থাই জাম্বু, কাটিমন, বারি আম-১১, কিউজাই, হিমসাগর ও বানানা জাতের মোট আট প্রজাতির আম ধরেছে। এছাড়াও এই গাছ থেকে ১২ মাস আম পাওয়া যাবে। বর্তমানে হর্টিকালচার সেন্টারে এ ধরনের নতুন গাছ তৈরির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। একসময় সারাদেশে এ গ্রাফটিং মাধ্যমে এ ধরনের আম গাছের বিস্তার করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন এখানকার উদ্যানতত্ত্ববিদরা।

একটি কিংবা দুইটি জাত নয়। মোট আট জাতের আম ধরেছে এক গাছেই। বার মাস আম পাওয়া যাবে এমন বৈচিত্র্যময় আট জাতের সংমিশ্রণের আম গাছের দেখা মিলবে মাদারীপুরের মস্তফাপুর হর্টিকালচার সেন্টারে। ২০২২ সালের দিকে একটি উন্নত জাতের আম গাছ রোপণ করা হয় মাদারীপুরের হর্টিকালচার সেন্টারে। কিন্তু গাছে আম সুমিষ্ট না হওয়ায় গাছের দশটি ডালে গ্রাফটিং এর মাধ্যমে দশটি ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির আম গাছের ডাল বসানো হয়। এর মধ্যে আটটি প্রজাটির কলম বেঁচে যায়। এবছর ৭টি ডালে আম ও একটি ডালে আমের মুকুল আসছে।

প্রায় দশ ফুট উচ্চতার গাছটিতে ঝুলে রয়েছে নানা আকার ও বর্ণের আম। লাল, সবুজ ও খয়েরি রঙের এসব বাহারি আমগুলো দেখতে গোল, চ্যাপ্টা ও কলার মতো লম্বাকৃতির। গাছটির কয়েকটি ডালে আম পরিপক্ব হয়ে উঠেছে। আবার কিছু ডালে মাত্র আমের মুকুল এসেছে। এখানে ঘুরতে আসা অনেককে কৌতূহলী হয়ে আম গাছের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে।

মস্তফাপুর হর্টিকালচার সেন্টারের সহকারি উদ্যানতত্ত্ববিদ মো. লতিফ জানান, উদ্যানতত্ত্ববিদরা ও কর্মচারীর মিলে পরামর্শ করে একটি গাছে বার মাসেই আম পাওয়া যাবে পূর্বে রোপন করা একটি আম গাছে গ্রাফটিং এর মাধ্যমে দশটি প্রজাতির আমের ডাল সংযোগ করে সফল হয়েছে আমও ধরেছে। এখন তাদের পরিকল্পনা একটি গাছে ১৫ থেকে ২২ প্রজাতির আম ধরানোর এমনটা জানালেন।

হর্টিকালচার সেন্টারে ঘুরতে এসে কৃষি উদ্যোক্তা নুর এ আলম বলেন, এটি একটি অভিনব গ্রাফটিং পদ্ধতি। একই গাছে বিভিন্ন প্রজাতির আমের সংমিশ্রণ তৈরি করায় বছরের লম্বা সময় ধরে এই গাছটি থেকে আম পাওয়া যাবে। এই গাছটি ইতোমধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আমরা সবার চাহিদানুযায়ী আরও গাছ তৈরি করার পরিকল্পনা করছি।

মাদারীপুরের মস্তফাপুর হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আশুতোষ কুমার বিশ্বাস বলেন, সরকারের লক্ষ দেশের এক ইঞ্চি জমিও ফাঁকা থাকবে না, এরই ধারাবাহিকতায় জমির স্বল্পতার কারণে অল্প জায়গায় মানুষের চাহিদা অনুযায়ী একটি গাছ থেকেই একাধিক প্রজাতির ফল খেতে পারবে এই পদ্ধতিতে।

এটি একটি অভিনব গ্রাফটিং পদ্ধতি। একই গাছে বিভিন্ন প্রজাতির আমের সংমিশ্রণ তৈরি করায় বছরের লম্বা সময় ধরে এই গাছটি থেকে আম পাওয়া যাবে। এই গাছটি ইতোমধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আমরা সবার চাহিদানুযায়ী আরও গাছ তৈরি করার পরিকল্পনা করছি।-সময়ের কণ্ঠস্বর।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট