Thursday, April 25, 2024

৩২ কোটি টাকার চিনাবাদাম উৎপাদনের সম্ভাবনা!

হাওর অঞ্চল হলেও বন্যার পর শুকিয়ে যাওয়া নদীর তীরে বাদামের চাষ করছেন চাষিরা। চলতি বছর চিনাবাদামের চাষ করে কৃষকরা ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। এখন জমি থেকে বাদাম তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। অনেকেই আবার বাদাম রোদে শুকিয়ে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। কম খরচে বেশি উৎপাদন হয়। এছাড়াও উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে প্রায় দ্বিগুণ লাভবান হওয়া যায়। তাই সুনামগঞ্জে বাড়ছে চিনাবাদামের চাষ।

গত বছরের তুলনায় এবছর বেশি জমিতে বাদামে আবাদ করা হয়েছে। সুনামগঞ্জের প্রায় ৬ হাজার কৃষক বাদাম চাষের সাথে যুক্ত আছেন। এতে সুনামগঞ্জে ১ হাজার ৭২৬ হেক্টর জমিতে কৃষকরা চিনাবাদামের চাষ করেছেন। যার বর্তমান বাজারমূল্যে দাম হয় ৩২ কোটি টাকা। প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মেট্রিক টন বাদাম উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার শক্তিয়ারখলা গ্রামের কৃষাণী খুদেজা বেগম বলেন, আমি গত বছরও বাদামের চাষ করেছিলাম। তবে ভয়াবহ বন্যায় বাদামের গাছ তলিয়ে যায়। তখন অনেকের কাছে ঋণ করে সংসার চালাতে হয়েছে। এবছর ঋণ করে সেই টাকা দিয়ে ২ একর জমিতে বাদাম চাষ করেছি। আশা করছি বাজারদর ভাল থাকলে গতবছরের লোকসান পুষিয়ে লাভবান হতে পারবো। জমিতে বাদামের ভাল ফলন হওয়ায় খুশি হয়েছি।

চাষি আমির মিয়া বলেন, গত বছর বন্যায় সব ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার কারণে একটা বাদামও ঘরে আনতে পারিনি। এ বছর আবারো চাষ করেছি। আর বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। আশা করি এ বাদাম বিক্রি করে আমরা লাভবান হতে পারবো।

আফরোজ আলী বলেন, গত বছর আমরা কোনো ফলন পাইনি। আমাদের বাদাম চাষের সকল খরচ পানিতে ভেসে গেছে। চলতি বছর বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে বাদামের দাম কম থাকলে লোকসানের পাশাপাশি আমাদের এই কষ্ট একেবারেই বৃথা যাবে। ফলন ভাল হলেও বাজারদর নিয়ে চিন্তায় আছি।

সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, কম খরচে বেশি ফলন পাওয়া যায় বলে এখানকার হাওরের কৃষকরা বাদামের চাষ করে থাকেন। গত বছর ব্যাপক পরিমানে চাষ হলেও বন্যায় সবার ক্ষতি হয়। লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৪০০ হেক্টর বেশি জমিতে চিনাবাদামের চাষ হয়েছে। আশা করছি বাজারদর ভাল থাকলে কৃষকরা গতবারের লোকসান পুষিয়ে লাভবান হতে পারবেন। এবছর তারা আবার চিনাবাদামের চাষ করেছেন।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট