Saturday, April 20, 2024

২০ হাজার খরচে লতি চাষে বিঘাপ্রতি লাভ লাখ টাকা

কম খরচ আর পরিশ্রমে বেশি লাভ হওয়ায়, এখানকার কৃষকদের মাঝেও আগ্রহ বাড়ছে কচুর লতি চাষে। বরুড়ার কচুর লতি দেশের সীমানা পেরিয়ে গত কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রোলিয়া, ইংল্যান্ডসহ প্রায় ২৫টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। কচুর লতি চাষে ভাগ্য বদল হচ্ছে কুমিল্লা জেলার বরুড়ার উপজেলার কৃষকদের।

এক বিঘা কচু চাষে তাঁদের খরচ হয় হাজার বিশেক টাকার মতো। যা কচুর লতি বিক্রি করেই ওঠে আসে সেই খরচ। লাভের অংশ হিসেবে প্রতি বিঘা জমির কচু বিক্রি করা যায় নূন্যতম ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা। অন্যদিকে সবজিটির প্রচুর চাহিদা থাকায়, জমি থেকে তুলে স্থানীয় বিভিন্ন বাজারে নেওয়া মাত্রই তা বিক্রি হয়ে যায় বলেও জানিয়েছেন কৃষকেরা।

বরুড়ার শরাফতি, মগুজি, কসমি, নিশ্চিন্তপুর, পুরাতন কাদবা, বরাইপুর, যশপুর, পেনুয়া, পাক্কামোড়া, লইপুরা, করিয়াগ্রাম, হুরুয়া, পাঠানপাড়া, লক্ষিপুর, ঝাঁলগাও, নয়নতলা, পোনতলা, বাতাইছড়ি, খোশবাসসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে চাষ হচ্ছে কচুর লতি। এ কচুর লতি অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিমান সম্পন্ন হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যশপুর গ্রামের প্রথম উদ্ভাবিত এ লতি শুরুতে ২-১ জন কৃষকের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকলেও পরে দ্রুত বাণিজ্যিকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

বরুড়ার উপজেলার ঝাঁলগাও গ্রামের সফল লতি চাষি আবেদ আলী জানান, এপ্রিল-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬ মাস এ পুরো মৌসুম হলেও সারা বছর এর ফলন পাওয়া যায়।

লতির পাইকার মিল্লাত বলেন, বরুড়ার বাতাইছড়ি লতির বাজার থেকে সিজন টাইমে প্রতিদিন ৬০-৭০ টন লতি দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠাচ্ছেন তারা। বর্তমান কৃষকদের কাছ থেকে প্রকার ভেদে প্রতি কেজি লতি ২৫-৪০ টাকা দরে ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠিয়ে দিচ্ছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এখানকার মাটি কচুর লতি চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নেই লতি আবাদ হচ্ছে। চলতি বছর উপজেলায় ৩০৫ হেক্টর জমিতে কচুর লতি আবাদ হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ৩-৪ হাজার কেজি কচুর লতি পেয়ে থাকে কৃষকরা। প্রতি বিঘা জমিতে গোবর, ডি’এপি, পটা’শ, জিপসাম, ই’উরিয়া বাবদ ১৮-২২ হাজার টাকা খরচ করে লতি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮৫ হাজার টাকা।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট