Thursday, April 18, 2024

লিচু চাষে লাভবান আলাউদ্দিন শেখ!

চাষ পদ্ধতি সহজ ও চলতি মৌসুমে আবহাওয়া ভাল থাকায় লিচুর ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। তার বাগানের ১০০টি গাছে থোকায় থোকায় লিচু ধরেছে। তিনি উন্নত জাতের লিচুর বাগান করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। তার দেখাদেখি অনেকেই লিচুর বাগান গড়ে তোলায় আগ্রহী হয়েছেন। রাজবাড়ীতে লিচু চাষে সফল আলাউদ্দিন শেখ।

আলাউদ্দিন শেখ রাজবাড়ী জেলা সদরের চন্দনী ইউনিয়নের ঘোড়পালান গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ১ একর জমিতে লিচুর বাগান করে সফলতা অর্জন করেছেন। তার বাগানে মোজাফফর, বোম্বাই, চায়না-৩ জাতের ১০০ গাছ রয়েছে। বর্তমানে বাগানের ১০০টি গাছেই প্রচুর পরিমানে লিচু ধরেছে। এই ফল চাষে তিনি নিজে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি অনেকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন। এতে বেকারত্বও কিছুটা লাঘব হয়েছে। বর্তমানে তার বাগানেই এসেছেন অনেক ক্রেতা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি বছর রাজবাড়ী জেলার ৫ উপজেলায় ৫৪ হেক্টর জমিতে হয়েছে লিচুর চাষ করা হয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে ৮-১০ মেট্রিক টন লিচুর আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আলাউদ্দিন শেখ বলেন, আমি ১ একর জমিতে লিচুর বাগান করেছি। আমার বাগানে মোজাফফর, বোম্বাই, চায়না-৩ জাতের ১০০ গাছ রয়েছে। আল্লাহর রহমতে প্রতিটি গাছেই লিচু এসেছে। ধারনা করছি প্রতিটি গাছে প্রায় ২ হাজার ফল ধরেছে। পাইকাররা বাগান থেকেই লিচুগুলো কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আশা করছি লাভবান হতে পারবো। আমি প্রতি ১ হাজার লিচু পাইকারি দরে ২ হাজার টাকায় বিক্রি করছি।

বাগানে লিচু কিনতে আসা ক্রেতা আ. মতিন বিশ্বাস বলেন, আমি আগে বাজার থেকে লিচু কিনতাম। বাজারের লিচুগুলো অনেকদিন রাখার ফলে পোকা পাওয়া যেত। তাই এখন স্থানীয় বাগান থেকে সরাসরি ক্রয় করছি। এখানকার লিচুগুলো খেতে খুবই সুস্বাদু ও রসালো।

লিচুর ব্যবসায়ী মো. আসিফ বলেন, রাজবাড়ীর লিচুর বেশ সুনাম রয়েছে। আমি প্রতি বছরই এখানকার লিচু ক্রয় করে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে থাকি। এতে চাষিদের পাশাপাশি আমরাও লাবভান হতে পারি।

জেলা সদর উপজেলা কৃষি অফিসের চন্দনী ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার নারায়ন মন্ডল বলেন, এই জেলার মাটি ও আবহাওয়া লিচুর চাষের বেশ উপযোগী। দেখাদেখি অনেকেই এই ফল চাষে আগ্রহী হয়েছেন। কৃষক আলাউদ্দিন লিচু চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট