সম্প্রতি কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ি ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছর পূর্তি ও সুবর্ণজয়ন্ত্রী উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন সারেগামাপা খ্যাত নোবেল এবং কোটি বাঙালির হৃদয়ে ঠাঁই করে নেয়া জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মনির খান।
একই অনুষ্ঠানে গান পরিবেশনা করেছেন ‘অঞ্জনা’ খ্যাত গায়ক মনির খান। তার আগে মঞ্চে নোবেলের অসংলগ্ন আচরণ ও অনুষ্ঠান সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন এ শিল্পী।
মনির খান বলেন, এ বিষয়ে মন্তব্য করতেও আমার লজ্জা লাগছে। যে জবাব দেব, সেটাও আমার কাছে স্পষ্ট নয়। আমি এত লজ্জিত যে, কী বলব। আমার সংগীত জীবনের ত্রিশ বছর। আমি জীবনে একটা সিগারেটে টান দেইনি। আপনাদের কলম ও আমার কণ্ঠ, একসঙ্গেই পথ চলছে। একজন শিল্পীর পড়ন্ত সময়ে এসে ন্যক্কারজনক ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে হবে—এটা আমার জন্য যে কতটা লজ্জাজনক, তা ভাষায় বলার মতো না।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা আমাদের ওস্তাদের কথা বললে হাত-পা মেলে ভালোভাবে চলতে পারি না। সংগীত হচ্ছে গুরুমুখী বিদ্যা। তাদের তো ওই অধ্যাবসায় নেই। বই পড়ে হয়তো অনেক কিছু শিখতে পারব। কিন্তু গুরুর কাছ থেকে যেটা শিখব তা বাস্তবধর্মী শিক্ষা। শিল্পীরা মানুষের স্বপ্নের জায়গায় থাকে, হৃদয়ে থাকে। কোনোভাবেই কোনো আচরণে সেই মানুষের মনে কষ্ট দেয়া ঠিক নয়।