Wednesday, April 24, 2024

বি’ষমুক্ত সবজি চাষে লাভবান কৃষকরা

আগের তুলনায় বি’ষমুক্ত পদ্ধতিতে চাষে খরচ কম হওয়ায় কৃষকরা লাভবান হতে পারছেন। মেলান্দহে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে বি’ষমুক্ত সবজি চাষ। চাষিরা আধুনিক পদ্ধতির ব্যবহারে বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ করছেন। তার মধ্যে শাক জাতিয় সবজিই বেশি।

কৃষি বিভাগের মাধ্যমে মেলান্দহের শ্যামপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ কৃষকদের মাঝে পরীক্ষামূলক ভাবে বি’ষমুক্ত সবজি চাষের প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এতে মোট ৫০০ জন কৃষাণ-কৃষাণী এই প্রকল্পের আওতায় বি’ষমুক্ত ভাবে বিভিন্ন সবজির উৎপাদন করছেন। কৃষকরা এই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে কম খরচে অধিক ফলন ও লাভবান হতে পারছেন। এর মধ্যে প্রায় ২০০ জন নারী এর বাকি ৩০০ জন হচ্ছে পুরুষ।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, কৃষাণ-কৃষাণীদের ৫ দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তাদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ, কীট’নাশক মারণা’স্ত্র ফেরো’মিন, ফাঁদ, ভার্মিকম্পোস্ট, ট্রাইকো কম্পোস্ট-জৈ’ব সা’র, নেট হাউজ, মানচিং শিট, প্রযুক্তিসহ সকল ধরনের সহযোগীতা দেওয়া হয়েছে। কৃষকরা এই পদ্ধতিতে লাউ, বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া, ধুন্দল, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, করল্লা ইত্যাদি চাষ করছেন কৃষকরা। স্থানীয় ভূমিহীনরাও এই প্রকল্পে কাজ করছে।

কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে সবজির চাষাবাদ করছি। এবছর কৃষি অফিসের পরামর্শে বি’ষমুক্ত সবজি চাষে ভালো ফলন পেয়েছি। তারা আমাদের বিনামূল্যে বীজ-সার দিয়েছেন। আশা করছি লাভবান হতে পারবো।

কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল বলেন, মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ করলে ফসলে আগাছা হয় না। ক্ষেতে পানিরও সংকট পড়ে না। মালচিং হচ্ছে বপনকৃত বীজের স্থান উন্মুক্ত রেখে বাকি জমি পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা। পোকার আক্র’মণের সম্ভাবনা বেশি থাকলে নেট দিয়ে ক্ষেতের চারদিকে ঢেকে দিতে হয়। এছাড়া আরও অনেক পদ্ধতি রয়েছে যেমন কী’টনাশক মারণা’স্ত্র ফেরোমিন, ফাঁদ, নেট হাউজ ইত্যাদি। বি’ষমুক্ত সবজি কিংবা ফসলাদি পেতে এই পদ্ধতি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কৃষি বিভাগ।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট