Thursday, April 18, 2024

বাড়ির আঙ্গিনায় পলিথিন নিয়ে চাষ করুন করলা, হবে বাম্পার ফলন

বছরের যে কোন সময় করলার চাষ সম্ভব হলেও এদেশে প্রধানত খরিফ মৌসুমেই করলার চাষ হয়ে থাকে। ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে যে কোন সময় করলার বীজ বোনা যেতে পারে। কেউ কেউ জানুয়ারী মাসেও বীজ বুনে থাকে কিন্তু এ সময় তাপমাত্রা কম থাকায় গাছ দ্রুত বাড়তে পারে না, ফলে আগাম ফসল উৎপাদনে তেমন সুবিধা হয় না।

করলা প্রায় সব মাটিতেই চাষ করা যায়। তবে জৈব পদার্থসমৃদ্ধ দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটিতে চাষ করলে ফলন ভালো হয়। করলা চাষ করার জন্য প্রথমে দুই ভাগ দো-আঁশ বা বেলে দো-আঁশ মাটি, ১ ভাগ গোবর, ২০-৩০ গ্রাম টিএসপি সার, ২০-৩০ গ্রাম পটাশ একত্রে মিশিয়ে ড্রামে ভরে পানিতে ভিজিয়ে সপ্তাহখানেক রেখে দিতে হয়। তারপর মাটি কিছুটা ওলটপালট করে বা ঝরঝরে করে আবার চার-পাঁচ দিন এভাবেই

রেখে দিতে হবে। করলার বীজ বপনের একদিন অথবা ২৪ ঘণ্টা আগে ড্রাম বা টবের মাটি পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে। বীজ বপন করার পর মাটি হাত দিয়ে সমতল করে চেপে দিতে হবে। করলার বীজ বপন করার পর এতে নিয়মিত পানি দিতে হবে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, টবে বা গাছের গোড়ায় যেন কোনোভাবেই পানি জমে না থাকে। তাহলে গাছের গোড়া পচে যাবে। সঠিক পরিমাপে পানি দিতে হবে।

করলা গাছ বড় হলে অপ্রয়োজনীয় বা মরা লতাপাতা বেছে ফেলে দিতে হবে। টব বা ড্রামের মাটি হালকা নিড়ানি দিয়ে আলগা করে দিতে হবে, তাহলে শেকড় বাড়বে। আগাছা জন্মালে তা উপড়ে ফেলতে হবে।

গাছের গোড়া পরিষ্কার রাখলে রো.গবালাই ও পোকামাকড়ের উৎপাত কম হয়। গাছ একটু বড় হলে মাচা করে দিতে হবে। গাছে নিয়মিত কীটনা.শক স্প্রে করতে হবে।সঠিক পরিমাণ সার দিতে হবে। করলার বীজ থেকে চারা বেরোনোর পর মাঝে মধ্যে পানি দিতে হবে। চারার যত্ন নিতে হবে। করলা ধরা শুরু করলে সরিষার খৈল পচা পানি পাতলা করে গাছে ১৫-২০ দিন অন্তর অন্তর নিয়মিত দিতে হবে।

টবে জৈ.ব সার দিতে হবে, যেন গাছ মাটি থেকে খাদ্য উৎপাদন করে বাড়তে পারে। প্রয়োজনে কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী রাসা.য়নিক সার ব্যবহার করা যায়। করলা গাছে মাছিপোকা, পাম.কিন বিটলসহ বিভিন্ন পোকা ও ভাইরা.সজনিত মোজাইক রো.গ, পাউডারি মিলডিউসহ বিভিন্ন বালাইয়ের আক্র.মণ দেখা দিতে পারে।

গাছে রো.গ বা পোকামাকড় আ.ক্রমণ করলে কৃষি অফিসারের পরামর্শ অনুযায়ী বালাইনা.শক স্প্রে করতে হবে। পোকামাকড়ের আক্র.মণ থেকে বাঁচতে সে.ক্স ফেরোমন ও বিষটোপ ফাঁদের যৌথ ব্যবহার করা যেতে পারে। করলা ছোট অবস্থায়ও সংগ্রহ করতে পারেন অথবা বড় হলেও সংগ্রহ করতে পারেন। তবে করলা কাঁচা থাকতেই সংগ্রহ করতে হবে। পাকা করলা তরকারি হিসেবে খাওয়া যায় না। ফল পরিপক্ব হওয়ার আগেই সংগ্রহ করতে হবে।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট