Thursday, April 25, 2024

বরগুনায় মুগডালের বাম্পার ফলন!

মুগডাল চাষে খরচ তুলনামূলক কম লাগে। এছাড়াও এর সাথে সাথি ফসল হিসেবে অন্যান্য ফসলও চাষ করা যায়। উৎপাদিত ফসল বাজারে ভাল দামে বিক্রি করতে পেরে কৃষকরা লাভবান হতে পারেন। তবে বর্তমানে শ্রমিক সংকটের কারণে জমিতেই ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া ভাল থাকায় বরগুনার আমতলীতে মুগডালের বাম্পার ফলন হয়েছে।

এখানকার কৃষকরা আগে শুধু আমন ধান চাষ করতেন। সময়ের পরিবর্তনে এখন কৃষকরা তরমুজ, মুগডাল সহ অন্যান্য আরো ফসল চাষ করে থাকেন। তরমুজরে পরেই সবচেয়ে বেশি মুগডালের চাষ করা হয়। অধিক ফলন পেলেও ফসল তোলার জন্য শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। তাই ফসল তোলা ব্যাহত হচ্ছে। এবছর আবহাওয়া ভাল থাকায় কৃষকরা বাম্পার ফলন পেয়েছেন।

কৃষক আবুল হোসেন বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর মুগডালের ফলন বেশি হয়েছে। তবে শ্রমিক সংকটের জন্য ফসল ঘরে তুলতে পারছি না। যেসব শ্রমিক পাচ্ছি তারা অর্ধেক ফসল চাচ্ছে। এতে আমাদের ব্যাপক লোকসান হবে।

রুবি আক্তার নামে এক নারী শ্রমিক বলেন, আমি সহ আরো অনেকেই জমিতে ডাল তোলার কাজ করি। এখন প্রচন্ড গরম। রোদের তাপে আমাদের খুব কষ্ট হয়। তাই ডাল অর্ধেক ভাগে তুলে দেই। এতে বাড়তি আয় হচ্ছে।

আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিএম রেজাউল করিম বলেন, এখানকার কৃষকরা আগে শুধু আমন ধান চাষ করতেন। অল্প খরচে বেশি লাভ করা যায় বলে বর্তমানে কৃষকরা তরমুজ ও মুগডাল চাষ করছেন। এবছর আবহাওয়া ভাল থাকায় বেশি ফলন হয়েছে। শ্রমিক সংকটের কারণে ডাল তুলতে দেড়ি হচ্ছে। আমরা কৃষকদের দ্রুত ডাল তোলার পরামর্শ দিচ্ছি। হেক্টর প্রতি ১২০০-১৫০০ কেজি ডালের ফলন পাওয়া গেছে।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট