Thursday, March 28, 2024

বগুড়ায় সাম্মাম চাষে রাশেদুলের লাখ টাকা আয়ের আশা!

আমাদের দেশে এটি রকমেলন নামে পরিচিত। তরমুজ, বাঙ্গির মতো ধীরে ধীরে দেশে এই ফলের চাহিদাও বাড়ছে। তাই বাজারে ভাল দামে বিক্রি করে তিনি লাভবান হতে পারছেন। বগুড়ায় মরুর ফল সাম্মাম চাষে সফল কানাডাপ্রবাসী রাশেদুল মোর্শেদ। আমাদের দেশে এই ফল চাষের সমৃদ্ধি দেখছেন তিনি। ফলটি অত্যন্ত রসালো ও সুস্বাদু হওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের এর বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে।

রাশেদুল মোর্শেদ প্রথমবারের মতো সাম্মাম চাষে সফলতা পেয়েছেন। তিনি তার ৫ বিঘা জমিতে এর চাষ করেছেন। তার জমিতে প্রায় ১২০০ চারা রোপন করেছেন। প্রায় প্রতিটি গাছেই ফল এসেছে। অনেকেই আবার তার বীজ নিয়ে চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এই এলাকায় প্রথম চাষ হওয়ায় অনেকেই জমিতে ফল দেখতে আসছেন।

উদ্যোক্তা রাশেদুল মোর্শেদ বলেন, আমি সাম্মামের চাষ করতে পারবো এটা আমার ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ভাবতে পারেনি। তবে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি যে, মাত্র এক বছরের মধ্যেই সফলতা পেয়েছি। এর চাষে আবহাওয়াই প্রথম বাধা হিসেবে কাজ করে। তবে সঠিক পরিচর্যা করলে এতে লোকসান হয় না। আমি উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলামের পরামর্শ ও সহযোগিতায় ৫ বিঘা জমিতে প্রায় ১২০০ চরা রোপন করি। চাষে আমার প্রায় ৬০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। বাজারে অন্যান্য ফল যেমন, তরমুজ, বাঙ্গির চেয়ে সাম্মাম বেশি দামে বিক্রি হয়। আশা করছি এক মৌসুমে লাখ টাকা আয় করতে পারবো। ঢাকার বাজারে বিক্রি করতে পারলে প্রতিকেজি সাম্মাম ৮০-৯০ টাকা দরে বিক্রি করা যায়। প্রথমদিনেই ৪০ হাজার টাকার সাম্মাম বিক্রি করেছি।

স্থানীয়রা বলেন, তরমুজ ও বাঙ্গি থেকে এই ফল বেশি সুস্বাদু ও মিষ্টি। রাশেদুলের জমিতে ব্যাপক ফলন হয়েছে। সে এই ফল চাষে লাভবান হচ্ছেন। আগামীতে আমরাও এর চাষ করবো।

শিবগঞ্জ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বলেন, সাধারনত আমাদের দেশে উৎপাদিত সাম্মাম এক থেকে দেড় কেজি ওজনের হয়। তবে সুপার সানি এই জাতটি আরো ভালো। ফলের ওজন হয়েছে প্রায় আড়াই থেকে চার কেজি পর্যন্ত। অনকে খোঁজার পর এই জাতটি রাশেদুল মোর্শেদের কাছে দিলাম। আশা করছি আগামীতে এর চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে। তিনি মালচিং পদ্ধতিতে এই জাতটি চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট