Friday, April 19, 2024

পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনে লাভবান কৃষক ইয়াকুব!

দীর্ঘ ৪ বছর যাবত উৎকৃষ্ট মানের পেঁয়াজের বীজের উৎপাদন করছেন ইয়াকুব। গত বছর লাভবান হওয়ায় এবছর বীজের আবাদ বাড়িয়েছেন। বীজ চাষে তার সফলতা দেখে অনেকেই এর চাষ শুরু করেন। অনেকে তার অনুসরণ করে স্বাবলম্বীও হয়েছেন। সিরাজগঞ্জের পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন করে লাভবান কৃষক ইয়াকুব।

কৃষক ইয়াকুব আলী শাহজাদপুর উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নের বিল কলমি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি অন্যান্য আরো দশজন কৃষকের মতোই পেঁয়াজের চাষ করতেন। তবে গত কয়েকবছর যাবত তিনি পেঁয়াজের বীজ চাষ করে এলাকায় বেশ সুনাম অর্জন করেছেন। তার উৎপাদিত বীজ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় সরবরাহ করা হয়।

পেঁয়াজ বীজ চাষী ইয়াকুব আলী বলেন, আমি আগে পেঁয়াজ চাষ করতাম। ৪ বছর আগে কৃষি বিভাগের পরামর্শে ১০০ শতাংশ জমিতে পেঁয়াজের বীজের আবাদ করি। তারই ধারাবাহিকতায় এখানো এর চাষ করছি। ভালো মানের পেয়াজ বীজ সরবরাহ করায় আমি সফল হয়েছি। আমার উৎপাদিত বীজ নিয়ে কৃষকরা খুব ভাল ফলন পেয়েছেন। আমার উৎপাদিত বীজের চাহিদা দিন দিন বাড়তে থাকে। ইয়াকুব আলীর পেঁয়াজের বীজ’ সবাই এখন এক নামে চিনে। এখন আমার উৎপাদিত বীজ স্থানীয় কৃষকরা নেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা উপজেলাতেও সরবরাহ হয়।

চাষী হালিম সরকার, আব্দুল কাদের, আব্দুল বারি সহ আরো অনেক কৃষকরা বলেন, আমরা প্রতি বছর পেঁয়াজের চাষ করে থাকি। এর চাষ লাভজনক। এছাড়াও আমরা কৃষক ইয়াকুব আলীর কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করে চাষ করি। এতে অনেক বেশি ফলন পাই।

শাহজাদপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম বলেন, বীজ উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় কৃষক ইয়াকুব আলীকে প্রদর্শনী দিয়ে তার মাধ্যমে বীজ উৎপাদন করা হচ্ছে। কৃষকদের ভাল মানের বীজ সরবরাহ করার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। তিনি সফলতার সাথে উৎপাদন করে যাচ্ছেন। এই অঞ্চলে পেঁয়াজের বীজের চাহিদা রয়েছে। আমর কৃষকদের বীজ উন্নয়নে সহযোগিতা করছি। এছাড়াও শাহজাদপুর উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নের এই অঞ্চলে চলতি বছর ৩০-৩৫ হেক্টর জমিতে পিয়াজ চাষ হচ্ছে।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট