Friday, April 19, 2024

তীব্র গরমে কদর বেড়েছে মৌসুমী রসালো ফল তালের শাঁসের

প্রতি পিস তালের শাঁস গত সপ্তাহের শুরুতেও ছিল ১৫ থেকে ২০ টাকা। সেটিই মঙ্গলবার পলাশ উপজেলার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা পিস, আবার কোথাও ৪০ টাকা। নরসিংদীর পলাশে গত কয়েকদিনের টানা গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। তীব্র গরমে কদর বেড়েছে মৌসুমী রসালো ফল তালের শাঁসের। রোদের তাপমাত্রা যত বাড়ছে ততই চাহিদা বাড়ছে এই ফলের।

জানা যায়, তালের শাঁসকে স্থানীয়ভাবে আষাঢ়ি বলা হয়ে থাকে। এই ফল গরমকালে সবার কাছেই অনেক পছন্দের। গত সপ্তাহের শুরুতে আমদানি কম থাকলেও প্রতি পিস তালের শাঁস ২০ টাকার বেশি বিক্রি হতো না। মাত্র দেড় সপ্তাহের ব্যবধানে এই শাঁস এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়। এই পছন্দের বা শখের ফলটির দাম বৃদ্ধি দেখে হাতাশ ক্রেতারা। আকারভেদে এর দাম ৪০ টাকারও বেশি চাচ্ছেন কোনো কোনো বিক্রেতা।

ক্রেতারা জানান, গত ১ সপ্তাহ ধরেই এর দাম বেড়ে চলছে জ্যামিতিক হারে। এগুলো কৃষকের গাছ থেকে কেনার সময় দাম পড়ে গড়ে ১০ টাকা। কিন্তু গাছ থেকে পারার পর পাইকারের ভ্যানে ওঠলেই দাম হয়ে যাচ্ছে ৪০ টাকা।

ঘোড়াশাল রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এক দোকান থেকে তালের শাঁস কিনতে আসা মাসুমা আক্তার শিমুল বলেন, গত বছর একজোড়া ২০ টাকা দিয়ে কিনে খাইছিলাম। এখন একটার দাম নাকি ৪০ টাকা। এর কমে বিক্রি করে না। দাম তিনগুণ বেশি, আমরা যারা মধ্যবিত্ত আছি তাদের নাগালের বাইরে এই ফল। মৌসুমী ফল হিসেবে প্রায় সবাই এটি খেতে চায়। আমি নিজে একজোড়া শাঁস কিনেছি ৭০ টাকা দিয়ে। অথচ পনের দিন আগেও এর দাম ৪০ টাকা ছিলো। গরমে কদর বেড়েছে এটির।

তালের শাঁস বিক্রেতা মুহিব মিয়া বলেন, আগে ১৫ থেকে ২০ টাকা ছিলো এটা সত্যি। কিন্তু এখন কিনেই আনতে হয় বেশি দিয়ে। গরমের কারণে এখন চাহিদা বেশি। এক ভ্যান শাঁস আনলে দুপুরের আগেই শেষ হয়ে যায়। রোদের তাপ বেশি বলে মানুষ কেনে বেশি।

তালের শ্বাস বিক্রেতা আলাউদ্দিন বলেন, চাহিদা বেশি থাকার ফলে দামও একটু বেশি। আমাদের খরচা আছে এই পর্যন্ত আসতে। লাভও হচ্ছে, তবে চাহিদা বেশি থাকার ফলেই এর দাম আমরা বেশি নিচ্ছি। অনায়াসে যে কেউ ৪০ টাকা করে কিনতে রাজি হচ্ছেন।

গ্রামের এক তালগাছ মালিক বলেন, আমি নিজেই পরশু দিন পুরো গাছ বিক্রি করেছি ৮০০ টাকা। এক গাছে ১৫০ টিরও বেশি আষাঢ়ি ছিলো। এগুলো ভ্যান খরচ দিয়েও ১০ টাকার বেশি পড়ার কথা না। সেখানে ১৫ টাকা খুচরার বদলে ৩০ বা ৪০ টাকা দাম কি করে হয় তা জানিনা।

পলাশ উপজেলার অপর তালগাছ মালিক সুলতান মিয়া বলেন, আমাদের এলাকায় প্রচুর তালগাছ। গাছ প্রতি ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা বিক্রি হয়। প্রতি গাছে প্রায় দুইশত পুষ্ঠ আষাঢ়ি বা শাঁস থাকে। পিস প্রতি এগুলোর দাম ৮ টাকা পড়ে গাছে। এসব বিক্রেতার হাতে এসে দাম পিস প্রতি ৪০ টাকা হয়।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট