Thursday, April 18, 2024

তিতির পাখি পালনে ইকবালের ভাগ্যবদল!

ব্রয়লার মুরগি পালন থেকে খরচ ও মৃ’ত্যুঝুঁকি কম থাকায় ইকবাল তিতি পাখি পালন করেছেন। এছাড়াও তার বেকারত্ব দূর করার পাশাপাশি হয়েছেন স্বাবলম্বী। তার সফলতা দেখে অনেকেই এর চাষে আগ্রহী হয়েছেন। বানিজ্যিকভাবে তিতির পাখি পালনে যুবক ইকবাল হোসেনের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে।

ইকবাল হোসেন কুমিল্লার হোমনা উপজেলার ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের চুনারচর গ্রামের বাসিন্দা। হাঁস মুরগির মতো তিতিরও গ্রামীণ পরিবেশে পালন করা যায়। এর মাংস ও ডিম খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু। বিভিন্ন প্রজাতির তিতির থাকলেও আমাদের দেশে সাধারণ ও কালো জাতের তিতির পালন করা হয়। প্রকৃতিক খাবার খায় বলে খরচ কম হয় আর রোগবালাইও কম হয়। মাত্র ৬-৭ মাস বয়স থেকেই ডিম পাড়া শুরু করে। পালনের ৫-৬ মাস পরেই বিক্রি করা যায়। বছরে প্রায় ১০০-১২০ টি ডিম দিয়ে থাকে।

উদ্যোক্তা ইকবাল হোসেন বলেন, আমি ২০২১ সালে ১ জোড়া পাখি এনে পালন শুরু করি। ডিম পাড়ার পর সেগুলো থেকে বাচ্চা ফুটিয়ে খামারে পাখির সংখ্যা বাড়াতে থাকি। এইগুলো দেশি মুরগির সাথেও পালন করা যায়। এটি খোলা ও আবদ্ধ দুই ভাবেই পালন করা যায়। প্রজনন মৌসুম মার্চ-অক্টোবর মাস পর্যন্ত। ডিম থেকে বাচ্চা ফুটতে ২৭-২৮ দিন সময় লাগে। বর্তমানে আমার খামারে ২শত এর বেশি তিতির রয়েছে। অনেকগুলো ডিমও দিচ্ছে। শৌখিন মানুষজন পালন করার জন্য কিনে নিয়ে যায়। আকার ভেদে প্রতি জোড়া ২-৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছি। এর মাংস সুস্বাদু হওয়ায় আবার অনেকেই খাওয়ার জন্য নিচ্ছেন।

উপজেলা ভেটেনারি ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হেলাল উদ্দিন বলেন, তিতির দেখতে খুব সুন্দর। এগুলো দেশি মুরগির মতোই। রোগবালাই কম। ডিম অনেক বেশি দেয়। আর ওজনও বেশি হয়। উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় এর চাষ বেশি লাভজনক। আশা করছি তরুনদের এমন উদ্যোগ বেকারত্ব অনেকটাই দূর করবে। হোমনায় ইকবালের খামারটি উপজেলার দ্বিতীয় বড় খামার।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট