Thursday, April 25, 2024

টাঙ্গাইলে পান চাষে লাভবান জহিরুল!

বর্তমানে জহিরুল ইসলাম তার বাড়ির পতিত জমিতে পান চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তার সফলতা দেখে অনেকেই পান চাষে আগ্রহী হয়েছেন। পান চাষে সফল জহিরুল ইসলাম। অভাবের সংসারে ঘুরে দাড়াতে এক বন্ধার পরামর্শে তিনি পানের চাষ শুরু করেন।

জহিরুল ইসলাম টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের ভাতশালা গ্রামের বাসিন্দা। নাগপুরে তিনিই প্রথম পানের চাষ শুরু করেন। আগে তিনি দর্জির কাজ করতেন। তাতে সংসার চালানো কষ্টকর হওয়ায় বন্ধুর পরামর্শে মিষ্টি জাতের পানের চাষ করেন। বর্তমানে তার আর কোনো অভাব অনটন নেই। এখন তিনি পানের বরজের পরিচর্যা করেই সময় কাটান। তাই এর সঠিক পরিচর্যার প্রয়োজন। এছাড়াও আমাদের দেশে সারাবছরই পানের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। একবার বরজ তৈরী করলে প্রায় ২৫ বছর পর্যন্ত পান পাওয়া যায়।

পান চাষি জহিরুল ইসলাম বলেন, আমি আগে দর্জির কাজর করতাম। এতে আমার সংসারের খরচ চালানো খুব কঠিন ছিল। তারপর আমার এক বন্ধুর পরামর্শ অনুযায়ী রাজশাহী থেকে মিষ্টি জাতের প্রায় ৫ হাজার পানের চারা এনে বাড়ির পাশে পতিত ২৫ শতাংশ জমিতে রোপন করি। জমির চারদিকে পাটখড়ির বেড়া ও উপরে ছায়ার জন্য ছাউনির ব্যবস্থা করেছি। তারপর রাজশাহীর দুইজন অভিজ্ঞ চাষির পরামর্শ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, জমি তৈরী করা থেকে শুরু করে চারা রোপন ও পরিচর্যা বাবদ ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। চারা রোপনের ৯ মাস পরই পানপাতা তুলতে পারি। বর্তমানে স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি রাজশাহীতেও পান বিক্রির করতে নিয়ে যাই। আগের তুলনায় এখন অনেক ভাল আছি। যদি সরকারি সহযোগিতা পাই তাহলে আরো বড় পরিসরে এর চাষ করবো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বিশ্বাস বলেন, জহিরুল ইসলাম একজন সফল উদ্যোক্তা। আমাদের দেশে পন একটি অর্থকরি ফসল। আমরা তাকে পান চাষে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবো। তিনি পান চাষ করে সফলতা পেয়েছেন।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট