Thursday, April 25, 2024

জাতিসংঘের সূচকই বলে দেয় দেশের মানুষ সুখে আছে : তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট অনুযায়ী সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের সাত ধাপ এগিয়ে যাওয়াই প্রমাণ করে দেশের মানুষের সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পেয়েছে।

গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন। বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হুমায়ুন মাকসুদ হিমু এসময় উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি প্রকাশিত জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ সুখী ইনডেক্সে সাত ধাপ এগিয়েছে। আগে ১০১তম ছিলো এখন ৭ ধাপ এগিয়ে ৯৪তম স্থানে উন্নীত হয়েছে, যেখানে প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবস্থান ১৩৬ এবং পাকিস্তানের অবস্থান ১২১।

সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ‘‘এই করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে যখন বিশ্ব অর্থনীতি প্রচন্ড চাপের মধ্যে আছে, অনেকের মতে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা চলছে, সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষের যে সুখ-সমৃদ্ধি বেড়েছে, ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস ইনডেক্সে বাংলাদেশের ৭ ধাপ অগ্রগতিই তার প্রমাণ।

যদি বিএনপি ও তাদের মিত্ররা ক্রমাগতভাবে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত না থাকতো, অপপ্রচার না চালাতো এবং দেশের মানুষকে নানাভাবে অসুখী করার অপচেষ্টায় নিয়োজিত না থাকতো, তাহলে মানুষের সুখ সমৃদ্ধি আরো বাড়তো, ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস ইনডেক্সে আমরা আরো এগুতে পারতাম, কারণ এই সূচকের অন্যতম বিষয় হচ্ছে মানুষ নিজেকে সুখী মনে করছে কি না।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘বিএনপি প্রতিদিন অপপ্রচার চালাচ্ছে, প্রেসক্লাবের সামনে, পল্টনে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় সভা-সমাবেশ করে মানুষকে অসুখী করার চেষ্টা করছে। তাদের এই অপচেষ্টার মধ্যে ৭ ধাপ এগিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণেই সম্ভবপর হয়েছে।’’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘আশা করি বিএনপি মানুষকে ক্রমাগতভাবে অসুখী করার যে অপচেষ্টা চালাচ্ছে এই রিপোর্টের পর তারা তা থেকে নিবৃত হবেন। আশা করবো, তারা সরকারকেও অভিনন্দন জানাবেন।’’

এসময় বাজারে টিসিবি’র পণ্য বিক্রির বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘‘যুদ্ধ ও করোনা পরিস্থিতির কারণে সারা পৃথিবীতে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। সরকার এক কোটি পরিবার অর্থাৎ প্রতি পরিবারে পাঁচজন থাকলে পাঁচ কোটি মানুষকে টিসিবি’র মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে পণ্য দেয়ার ব্যবস্থা নিয়েছে, যেখানে প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা, আটা ১৮ টাকা, চিনি ৫৫ টাকা, মশুর ডাল ৬৫ টাকা, পেঁয়াজ ৩০ টাকা, সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১১০ টাকা। অর্থাৎ বিশ্বব্যাপী মূল্যবৃদ্ধির যে আঁচড় বাংলাদেশে লেগেছে, সেটি থেকে নিম্ন আয়ের মানুষ যাতে মুক্তি পায়, সরকার তার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।’’

সূত্র: বাসস

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট