Thursday, March 28, 2024

জন্মদিনের প্রথম প্রহরে মেয়ের হাতে কেক খেলেন নির্মাতা ফারুকী

আজ চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার এবং নাট্য নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ৫০তম জন্মদিন। জন্মদিনের প্রথম প্রহরে পরিবার-পরিজন নিয়ে কেক কেটেছেন ফারুকী। সেই আনন্দের মুহূর্তের ছবি ভক্তদের সাথে শেয়ার করেছেন নির্মাতা। সাথে লিখেছেন জীবনের প্রাপ্তির কথা।

গুণী নির্মাতা ফারুকী লিখেছেন, সারাজীবন আমি বয়স গুনি নাই, গুনছি ব্লেসিংস! আজকে আমার ৫০তম জন্মদিনে এসে তাই পেছন ফিরে নিজেকে একজন কৃতজ্ঞ মানুষই মনে হচ্ছে। সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞ পৃথিবী নামের এই গ্রহে এক চমৎকার জার্নির জন্য আমাকে নির্বাচিত করার জন্য। আমার জার্নিটা অন্য আরো কোটি রকম হতে পারতো! হতে পারতাম কীর্তনখোলা নদীর পারের এক উদাসী রাখাল। কিংবা যাত্রা প্যান্ডেলের টিকিট চেকার। অথবা কোনো এক নির্জন স্কটিশ গ্রামের পাইপার।

এর কোনোটাই ভালো বা খারাপ বলছি না। বলছি এই যে বাংলাদেশের একজন গল্পকথক হইছি, হয়ে আমার সময়টাকে গল্পে ধরার চেষ্টা করছি, করতে গিয়ে কতো মানুষের ভালোবাসা পাইছি, কতো মানুষের সাথে কতো ব্রিজ তৈরি করছি, এইসবই একেকটা ব্লেসিংস। তিশার মতো একজন সঙ্গী পাইছি এই জার্নিতে, ইলহামের মতো একটা বেহেশতের টুকরা পাইছি। আমি তাঁর কোনো নিয়ামতকে অস্বীকার করবো?

আজকে পিছনে ফিরে ভাবি, আমি যখন ছবি বানাতে শুরু করি, তখন যেসব রাস্তায় আমি হাঁটা ধরছিলাম, আমি তো পথ হারায়ে ঝরে যেতে পারতাম আরো এক স্বপ্নবান তরুণ হিসেবে। কতো ঝড় গেছিলো, ভাষার ঝড়, অভিনয়ের ঝড়, এমনকি বিষয়ের ঝড়ও। আজকের সময়ে বসে হয়তো বোঝা যাবেনা একসময় ন্যাচারাল অভিনয় করাতে চাওয়াটা কতো “আনন্যাচারাল” ছিল, স্বাভাবিক সংলাপ লেখাটাও কত বড় অপরাধ ছিলো! আজকের বাংলাদেশী ভিজুয়াল ল্যান্ডস্কেপের দিকে তাকালে সেই সব দিন অবিশ্বাস্যই মনে হয়।

হয়তো করা যেতো আরো অনেক কিছুই, আরো অনেক বেটার কিছু, কিন্তু আজকের এই দিনে এসে অপ্রাপ্তির দিকে তাকাইতে চাই না। কারণ যখনই গুনতে বসবেন, জীবনে প্রাপ্তির চেয়ে অপ্রাপ্তি বেশীই হবে। গুনতে চাই তাই ব্লেসিংস! জীবনের দুই-তৃতীয়াংশ পার করে দিয়েছি! ট্রেন যতদূর যাবে, চাইবো সেটা যেন মিনিংফুল জার্নি হয় আরো।

নতুন নতুন গল্পে দেখতে চাইবো সময়টাকে! আর হ্যাঁ, এমনও হইতে পারে, ছবি বানানোর পাশাপাশি দেখতে পারেন নতুন কোনো ভূমিকায়ও। কারণ জীবন শুরু হতে পারে ফিফটিতেও।

সবাই ভালো থাকবেন। ভালোবাসবেন সবাইকে। গভীরে নামলে দেখবেন, মানুষে মানুষে ঘৃণার আসলে কোনো গভীর কারণই নাই। আমাদের এইসব পার্থক্য সব ওপরের, সকলই কসমেটিক।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট