Friday, April 19, 2024

চেয়েছিলাম যেন রাবাদাকে আগে বোলিং করাতে বাধ্য হয় : সাকিব

টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি তার বিতৃষ্ণা অনেকদিনের। বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ড সফরে না গিয়ে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দেন। তাকে ছাড়াই নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম টেস্ট জয় করে দেশে ফিরে বাংলাদেশ। এরপর গতকাল শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে এলো প্রথম জয়। ঐতিহাসিক এই জয়ের অন্যতম নায়কের নাম সাকিব আল হাসান।

প্যাসেঞ্জারের সিট থেকে সরাসরি ড্রাইভিং সিটে বসে দলকে আরও একটি ঐতিহাসিক জয় এনে দিয়ে ভূমিকা রাখলেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদের মাটিতে প্রথম জযের দেখা পেল বাংলাদেশ। এই ম্যাচে ব্যাট হাতে উজ্জল ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ব্যাটিংয়ে শুরুটা ধীরগতির হলেও পরে পুষিয়ে নেয় টাইগার ব্যাটাররা। তামিম ইকবাল আর লিটন দাস শুরুটা করেছিলেন বেশ সতর্কভাবে। রান তোলার চেয়ে উইকেটে সময় কাটানোতেই বেশি মনোযোগী ছিলেন তারা। ফলে ১০০ রান তুলতে বাংলাদেশের খরচ হয়ে যায় ২২ ওভার।

২১.২ ওভারে তামিম আর লিটনের জুটি ভাঙে ৯৫ রানে। রান তোলার গতি হিসেব করলে সেটাকে একটু ধীরই বলতে হবে। কিন্তু নতুন বলে তামিম আর লিটনের সময় কাটানো আর বড় জুটিই মূলত শক্ত ভিত গড়ে দেয় বাংলাদেশের। যে ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে ঝড়ো ব্যাটিং করেন সাকিব আর হাসান আর ইয়াসির আলি রাব্বি। ৪১ বলেই যে জুটি পূরণ করে পঞ্চাশের ঘর। পরের পঞ্চাশের জন্য লেগেছে আরও কম বল। ৭৩ বলে সেঞ্চুরি জুটি পূরণ করেন সাকিব-রাব্বি।

সাকিব জানালেন, ‘উইকেটে গিয়ে ৭-৮ বল খেলার পর বুঝেছিলাম এটি ভালো উইকেট এবং আমাদের ৩০০’র আশপাশে কিছু করতে হবে। আমাদেরকে মোমেন্টাম ধরে রাখতে হবে। লিটন এবং তামিম আমাদের অনেক ভালো শুরু এনে দিয়েছিল। তাই মোমেন্টাম ধরে রেখে যত বেশি রান করা সম্ভব- তা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ পুরোনো বলে রান করা সহজ ছিল। এটিই আমরা কাজে লাগাতে চেয়েছি। সৌভাগ্যবশত আজকে এটি বেশ ভালোভাবে হয়েছে।’

২২তম ওভারে তামিম আউট হলে উইকেটে আসেন সাকিব। তখন পিচ অনেকটাই ব্যাটিংয়ের জন্য সহজ হয়ে গিয়েছিল জানালেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সাকিব বলেন, ‘আমি যখন ক্রিজে আসি তখন বল তেমন কিছুই করছিল না যেমনটা প্রথম ১০ ওভারে করছিল। আমরা সোজা ব্যাটে খেলেছি, কিছু হিসেবি ঝুঁকি নিয়েছি। এটাই আজ কাজে লেগেছে।’ ইয়াসিরকে নিয়ে দ্রুত রান তোলার ভাবনাটা উইকেটে আসার পরই মাথায় নেন সাকিব। প্রোটিয়া পেসার কাগিসো রাবাদার ডেথ বোলিং খুব ভয়ংকর, একের পর এক ইয়র্কার করতে পারেন। তাই সাকিব-রাব্বি মিলে সিদ্ধান্ত নেন- দ্রুত রান তুলবেন, যাতে রাবাদাকে আগে নিয়ে আসতে বাধ্য হন প্রোটিয়া অধিনায়ক।

সেই পরিকল্পনা প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘আমি ভাবছিলাম ওই সময়ই দ্রুত রান করা উচিত ছিল। তা না হলে আমরা ২৬০-২৭০ রানের বেশি করতে পারতাম না। আমরা যে ছন্দটা পাই ৩০ ওভারের সময়, ওটাই ম্যাচের চেহারা পাল্টে দিয়েছে। আমরা জানতাম যে ডেথ ওভারে রাবাদা তিন-চার ওভার বোলিং করবে। আমরা চেষ্টা করেছিলাম যেন তারা রাবাদাকে আগে বোলিং করাতে বাধ্য হয়। সে জন্যই আমাদের ঝুঁকি নিতে হয়েছে। এটাই আমরা করতে সক্ষম হয়েছি।’

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট