Wednesday, April 24, 2024

গ্রীষ্মকালীন টমেটোর বাম্পার ফলনে লাভবান চাষিরা!

আবহাওয়া অনুকূলে থাকার পাশাপাশি এই অঞ্চলের মাটি উর্বর হওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা গ্রীষ্মকালীন নাবি জাতের টমেটো চাষ করে এমন ফলন পেয়েছেন। এতে ভালো ফলনের পাশাপাশি কৃষকরা বর্তমান বাজারদরে বিক্রি করে লাভবান হতে পারছেন। দিনাজপুরে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে।

কৃষকরা প্রতিদিন ভোর বেলায় বাজারগুলোতে তাদের উৎপাদিত টমেটো খাঁচা ভর্তি করে নিয়ে আসছেন। বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে আসা পাইকাররা মান ও আকারভেদে প্রতিমণ টমেটো ৫৫০-৬০০ টাকা দরে কিনে নিচ্ছেন। গ্রীষ্মকালীন ফলন হিসেবে কৃষকরা এই দামে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন। এছাড়াও বাছাইকৃত বড় গুলো ৭০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে।

চলতি বছর দিনাজপুর জেলায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে টমেটো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলে কৃষকরা লাভের আশায় আরো ৫৬০ হেক্টর বেশি জমিতে এর চাষ করেছেন। এখানকার উৎপাদিত টমেটো স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করা হচ্ছে।

দিনাজপুর সদর উপজেলা শেখপুরা গ্রামের আর্দশ কৃষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা গত বছর থেকে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ করছি। চারা রোপনের ৬০-৭০ দিনের মধ্যে ফলন আসে আর পাকতে শুরু করে। খরচ বাদে প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ টাকা আয় করা সম্ভব।এই জাতের টমেটো চাষে বিঘাপ্রতি এক থেকে দেড় লাখ টাকা খরচ হয়।

গ্রামের আব্দুস সাত্তার বলেন, আমি এবছর ২ বিঘা জমিতে নাবি জাতের টমেটোর চাষ করেছি। জমিতে ভালো ফলন হয়েছে। বাজারে দামও ভালো। বর্তমানে প্রতি মণ ৬০০ টাকা দরে বিক্রি করছি। শুরুতে ভালোদামে পেলেও পরে দাম কমে যায়। তবে এমন দাম পেলে লাভবান হতে পারবো।

মোস্তানবাজারে টমেটো কিনতে এসেছেন ঢাকার পাইকারি ব্যবসায়ী আরিফ হোসেন বলেন, বর্তমান বাজারদর ভালো হওয়ায় কৃষকরা লাভবান হতে পারছেন। এখান থেকে কিনে ঢাকায় নেওয়া পর্যন্ত আমাদের খরচ বেড়ে যায়। বাজারে দাম বেশি থাকলে লাভও বেশি হয়।

জেলা সদরের বাহাদুর বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী কমল রায় বলেন, আমি প্রতি কেজি টমেটো ২০-২৫ টাকা দরে বিক্রি করছি। তবে বড় সাইজের গুলোর দাম বেশি। প্রতি কেজি ৩০ টাকা করে।

জেলা কৃষি বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক প্রদীপ কুমার গুহ বলেন, চলতি মৌসুমে দিনাজপুর জেলায় ১ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে টমেটো আবাদ হয়েছে। লাভবান হওয়ায় যায় বলে কৃষকরা এবছর ৫৬০ হেক্টর বেশি জমিতে এর চাষ করেছেন। বাজারে ভালো দামে বিক্রি করে তারা লাভবান হচ্ছেন। আমরা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা করছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা ভালো ফলন পেয়েছেন।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট