Tuesday, April 16, 2024

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মহিষ পালনে ব্যস্ত খামারি সুমন!

কোরবানির ঈদে বেশি দামে বিক্রি করে লাভবান হতে পশুর বেশি বেশি পরিচর্যা করছেন খামারি। আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দিনাজপুরের হিলিতে গড়ে উঠেছে মহিষের খামার। খামারে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রজাতির মহিষ লালন পালন করা হচ্ছে।

দিনাজপুরের সীমান্তঘেঁষা এলাকা হিলিতে বাণিজ্যিকভাবে মহিষের খামার গড়ে তুলেছেন সুমন মিয়া। তিনি টিনশেডের ছাউনির সাদা ও কালো রঙের বিভিন্ন জাতের মহিষের পালন করছেন। বর্তমানে তার খামারে প্রায় ৫০টি মহিষ রয়েছে। মহিষগুলা দেখাশোনার জন্য তিনি শ্রমিক রেখেছেন। শ্রমিকের কেউ কেউ খড় খেতে দিচ্ছেন, কেউ ভূষি ও ধানের তুষ দিচ্ছেন। এভাবেই তিনি সহ শ্রমিকরা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। বর্তমানে প্রচন্ড তাপ যেন মহিষের কষ্ট না হয় শ্রমিকরা মহিষগুলোকে বিলে গোসল করাতে নিয়ে যাচ্ছেন।

খামার মালিক সুমন মিয়া বলেন, আমি অনেকগুলো মহিষ সংগ্রহ করেছি। তারমধ্যে একটি বিদেশি জাতের মহিষ রয়েছে। এটির উচ্চতা প্রায় সাড়ে ৬ ফুট আর এর ওজন প্রায় ৩ টন। এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ মহিষ।আগামী কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এখন খামারে মহিষের বাড়তি যত্ন চলছে। শ্রমিকরা পালনে বেশি বেশি পরিচর্যা করছে। এগুলো ভাল দামে বিক্রি করে লাভবান হতে পারবো। আশা করছি আগামী ঈদে আমার খামার থেকে হাটে অনেকগুলো মহিষ উঠবে।

এই খামারের এক শ্রমিক বলেন, আমি আগে কোনো কাজ করতাম না। দীর্ঘদিন বেকার ছিলাম। তারপর এই খামারে কাজ পাই। এখন সারাদিন মহিষের যত্ন নেই। আগের তুলনায় এখন ভালভাবে জীবন চালাতে পারছি।

খামার ম্যানেজার সুরুজ মিয়া বলেন, আমাদের খামারের মহিষের গোবর এলাকার কৃষকদের কাছে বিক্রি করছি। এতে কৃষকরা জমিতে জৈব সার ব্যবহার করে ভাল ফলন পাচ্ছেন। আর আমাদেরও বাড়তি আয় হচ্ছে।

হাকিমপুর প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. মোছা. নাছরিন খাতুন বলেন, আমাদের দেশে গরু-ছাগলের খামার বেশি থাকলেও মহিষের খামার তুলনামূলক কম। আমরা তাকে খামারের পরিধি আরো বড় করতে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছি। খামারি সুমন মিয়া মহিষের খামার করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। তার খামারে ৫০ টি মহিষ আগামী ঈদের জন্য মোটাতাজা করছেন।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট