Saturday, April 20, 2024

কালীগঞ্জে হাঁস পালনে স্বাবলম্বী রুহুল, মাসিক আয় ৩০ হাজার টাকা

স্বল্প পরিসরে, হাঁসের খামার শুরু করলেও বর্তমানে এর পরিধি বাড়িয়েছেন। হাঁস, হাঁসের বাচ্চা ও ডিম বিক্রি করেই রুহুল প্রতি মাসে আয় করছেন ৩০ হাজার টাকা। রহুল আমিনের এমন সফলতা দেখে এলাকার অনেকেই হাঁস পালনে ঝুঁকে পড়ছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। হাঁসের খামার করে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার দলগ্রাম ইউনিয়নের দক্ষিণ দলগ্রামের বাসিন্দা রুহুল আমিন।

উপজেলার স্থানীয় বাজার ও আশেপাশের জেলাগুলোতে হাঁস ও ডিমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এছাড়াও বাজারমূল্য ভাল থাকায় লাভবান হচ্ছেন খামারিরা। বেকার শিক্ষিত তরুণরা বসে না থেকে খুব সহজেই হাঁস পালনের মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য বদলাতে পারে বলেও জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা।

ছোট বেলা থেকেি হাঁস-মুরগি পালনের শখ ছিল রুহুল আমিনের। কিন্তু পারিবারিক আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে তা আর হয়ে উঠেনি। নিজের ও পরিবারের ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে পাড়ি জমান ঢাকায়। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেও যখন ভাগ্যের চাকা ঘুরছিলো না তখন পুনরায় গ্রামে ফিরে যান। গ্রামে গিয়ে বেকার বসে না থেকে নতুন স্বপ্ন বুকে নিয়ে ছোট বেলার সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে স্বল্প পরিসরে শুরু করেন হাঁসের খামার। পরবর্তীতে বাচ্চা গুলো বড় হয়ে ডিম দেয়া শুরু করে। সেবারই হাঁস ও ডিম বিক্রি করে লাভ করেন ২০,০০০ টাকা। সেই যে শুরু আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। শুরুতে ১৫০০ টাকা দিয়ে কেম্বেল জাতের ৫০ টি হাঁসের বাচ্চা ক্রয় করেন।

রুহুল আমিন বলেন, খুবই ছোট্ট পরিসরে শুরু করলেও বর্তমানে খামারে ৪০০ টি হাঁস রয়েছে। এছাড়াও নিজ উদ্যোগে ডিম ফুটানোর মেশিন বানিয়ে খামারের ডিম দিয়ে বাচ্চা উৎপাদন করছি। হাঁসের ডিম, মাংসের জন্য হাঁস ও বাচ্চা উৎপাদন করে স্থানীয় বাজারসহ বিভিন্ন পাইকারদের কাছে বিক্রি করে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা লাভ থাকে বলেও তিনি জানান। খামারটি আরও বড় করার স্বপ্ন আছে। এই খামারই এখন আমার আয় রোজগারের একমাত্র পথ।  প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে যদি প্রয়োজনীয় সহায়তা পাই তাহলে খামার টিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। হাঁস পালনের আয় দিয়েই তিন সন্তানের লেখাপড়ার খরচ ও সংসার চলছে।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

সর্বশেষ আপডেট